Date: May 04, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / বরিশাল / কাঠালিয়ায় মালামাল লুট ও দোকানঘর গুড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে...

কাঠালিয়ায় মালামাল লুট ও দোকানঘর গুড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

May 03, 2025 08:00:08 PM   অনলাইন ডেস্ক
কাঠালিয়ায় মালামাল লুট ও দোকানঘর গুড়িয়ে দেওয়া সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বটতলা বাজারে পুলিশ পরিচয়ে বসতঘরে ঢুকে নারী, বৃদ্ধ ও কিশোরীদের হাত-পা বেঁধে মালামাল লুট এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ ৩ মে সকাল ১০টায় কাঠালিয়া-আমুয়া-বামনা-পাথরঘাটা সড়কের বটতলা বাজারে স্থানীয় জনতার আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী মো. হারুন অর রশিদ, তার স্ত্রী রোজিনা বেগম, ছেলে মেহেদী, পুত্রবধু লাকী আক্তার, প্রতিবন্ধী মেয়ে শিরিন আক্তার, সাবরিনা, ফাতেমা, স্কুলপড়ুয়া মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া, ভাই আ. রহিম, জামাতা ইব্রাহিম ও আব্দর শুক্কুরসহ অনেকেই।

বক্তারা বলেন, আনইলবুনিয়া গ্রামের ঢাকাবাসী প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নাসির খান সরোয়ারের ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে পুলিশের পোশাকে বাড়িতে ঢুকে আমাদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিনিসপত্র লুট করে। এরপর তারা ছয়টি দোকানঘর ভেঙে ফেলে এবং দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। তারা জানান, এ ঘটনায় মামলা করা হলেও চার দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি।

বক্তারা আরও বলেন, ভোররাতে (রাত ৪টার দিকে) সংঘটিত ওই ঘটনায় সন্ত্রাসীরা ৮ ভরি স্বর্ণালংকার, ৫টি মোবাইল, নগদ ৭৪ হাজার টাকা এবং জমি-জমার দলিলপত্র লুটে নেয়। ঘরের বাইরে অবস্থান করা আরও কিছু সন্ত্রাসী বসতঘর সংলগ্ন বটতলা বাজারের ছয়টি দোকান ভাঙচুর করে গুড়িয়ে দেয় এবং দোকানের সব মালামাল ও টাকা নিয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।

মানববন্ধনে বক্তারা সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা জানান, বর্তমানে পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে না, আমরা নিঃস্ব হয়ে গেছি। সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে স্থানীয় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।