
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুরে মারপিটের অভিযোগ ও বিচারের দাবিতে এক শাশুড়ি তার জামাইয়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গত শুক্রবার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের (বর্তমান কেশবপুর সাহাপাড়াস্থ জব্বার প্রফেসরের বাড়ির ২য় তলার ভাড়াটিয়া) জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী।
জরাজীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাশুড়ি তহমিনা বেগম বলেন, “পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত সোমবার সকালে (২৮ এপ্রিল) আলতাপোল গ্রামের আলতাফ শেখ ও তার ছেলে আমার জামাতা শাওন শেখ (২৫) এবং তার ভাই সোহান শেখ (২৮) কেশবপুর শহরের সাহাপাড়াস্থ আমার বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। আমি এর প্রতিবাদ করলে শাওন আমার বাসায় থাকা ধারালো তরকারি কাটা বটি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথা, নাক, ডান হাতের আঙ্গুল ও বাম হাতের কব্জির ওপরে স্বজোরে কোপ মেরে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এছাড়া আলতাফ ও সোহান আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফোলা জখম করে। এ সময় তাদের বাসার মধ্যে থাকা ওয়ার ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং গলায় থাকা ০১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ১২ আনা ওজনের ১ জোড়া স্বর্ণের কানের দুল তারা জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। আমার ডাক চিৎকারে অন্যান্য ভাড়াটিয়াসহ আশপাশের লোকজন আমার বাসায় ছুটে আসলে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং বর্তমানে আমি উক্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছি। আমি আংশিক সুস্থ্য হয়ে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিগনদের সহিত পরামর্শ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।”
তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ বিষয়ে আলতাফ ও সোহান বলেন, “আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”