
গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাকের ফতোয়া জানতে গিয়ে দুই ঘণ্টার চুক্তিভিত্তিক বিয়ের পর মসজিদের ভেতরে যৌন মিলনের অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসা মুহতামিমের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মুহতামিম ময়মনসিংহের ধোবাউরা উপজেলার কামালপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসমত আলী আশেকী। ঘটনাটি সংঘটনে সহযোগিতা করায় টেপিরবাড়ি পশ্চিম পাড়া আরফান আলী শাহী জামে মসজিদের ইমাম কফিল উদ্দিনকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, নোয়াখালীর এক গৃহবধূকে তার স্বামী তিন তালাক দেওয়ার পর চাচাতো ভাই তাকে শ্রীপুরে নিয়ে আসেন ফতোয়া নিতে। সেখানে মাদ্রাসার মুহতামিম ইসমত আলী আশেকী জানান, ওই নারীকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া ছাড়া পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হবে না। এরপর চুক্তিভিত্তিক এক বিয়ের নাটক সাজানো হয় এবং মসজিদের ভেতরে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, মসজিদের লাইট বন্ধ করে অভিযুক্ত ইমাম কফিল উদ্দিন সহযোগিতা করেন। যৌন মিলনের পর মুহতামিম ইসমত আলী আশেকী ওই নারীকে তালাক দেন এবং বলেন যে তিনি এখন আগের স্বামীর জন্য হালাল।
অভিযুক্ত ইসমত আলী আশেকী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, "আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। ওই নারী ও তার স্বামী আমার কাছে এসেছিলেন। আমি তাদের অনুরোধে হিল্লা বিয়ে করাই। তবে কার সঙ্গে বিয়ে করিয়েছি, তা মনে নেই।"
তবে ভুক্তভোগীর স্বামী দেশবরেণ্য আলেমদের সাথে পরামর্শ করে জানতে পারেন, চুক্তিভিত্তিক হিল্লা বিয়ে শরিয়তসম্মত নয়। এটি সম্পূর্ণ প্রতারণা।
এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি আলফাজ উদ্দিন স্বপন বলেন, "মসজিদ পবিত্র স্থান। সেখানে এ ধরনের কর্মকাণ্ড বরদাশত করা যায় না। অভিযুক্ত ইমামকে বরখাস্ত করা হয়েছে।"
স্থানীয়রা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে টেংরা মধ্যপাড়া জামিউল উলূম ক্বওমী মাদ্রাসা’র ম্যানেজিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, "আমি বিষয়টি মাওলানা আশেকী হুজুরের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলে জানাতে পারবো।"
এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।