
আনোয়ার হোসেন:
অবশেষে পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে আন্তজেলা অপহরণ কারীর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার ও অপহরণ কারীদের ব্যবহৃত মাইক্রো বাস জব্দ করেছেন বলে জানান ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান ।
পুলিশ জানায়, গত ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় পুলিশ সদস্য হনুফা ও তার স্বামী চট্রগ্রাম যাওয়ার জন্য ফেনীর মহিপালে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। ঐ সময় অপহরকারীরা মাইক্রোবাসের যাত্রী সেজে পুলিশ দম্পতিকে বিভিন্ন কৌশলে তাদেরকে চট্টগ্রাম পৌঁছে দিবে এই বলে তাদেরকে মাইক্রোতে তুলে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। অপহরণকারীরা পুলিশ দম্পতিকে নিয়ে ফেনী লালপোল এলাকায় যাওয়া মাত্র মাইক্রোতে যাত্রী সেজে বসা অপর অপরনকারীরা পুলিশ দম্পতিকে গামছা দিয়ে চোখ মুখ হাত বেঁধে পেলে। নগদ ৩ তিন লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এক পর্যায়ে পুলিশ দম্পতির কাছে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন, বাদিনী হনুয়া বেগমের কানে থাকা একজোড়া কানের দুল যার মুল্য ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। নির্যাতনের ভয় ভীতি দেখিয়ে পুলিশ দম্পতির আত্মীয়-স্বজন থেকে বিকাশের মাধ্যমে আরো নগদ ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপন হিসেবে আদায় করে। পরে অপহরণকারীরা জিম্মি দম্পতিকে মহাসড়কের লালপোল এলাকায় ঐদিন রাত ১০ তার দিকে মাইক্রো থেকে নামিয়ে দেয়। দ্রুত স্থানীয় লোকজন আহত দম্পতিকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ দম্পতির স্ত্রী হনুয়া বেগম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। গঠনার পরপরই পুলিশের সোস গঠনা উদ্ঘাটনে মাঠে নেমে পড়েন। এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসামীদেরকে রাজধানীর বিভিন্ন স্হান থেকে আটক করতে সক্ষম হয়। আটককৃত অপহরণকারীরা হচ্ছে বরগুনা জেলার তালতলী লতিফের পুত্র চান মিয়া (৫০) পিতা আবদুল লতিফ হাওলাদার। ০২ একিন হাওলাদার(৩৮) পিতা মৃত জব্বার হাওলাদার, সাং তিতুলবাডিয়া জেলা বরগুনা, ০৩ মুকিবুল হাসান বাবু,(২৯) পিতা জামাল হোসেন খান সাং মধ্যে ভুতুরদিয়া জেলা বরিশাল।
সোমবার বেলা ১১ টার দিগে ফেনী পুলিশ সুপার জাকির হাসান পুলিশ কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তথ্য জানান। গণমাধ্যম কর্মী ছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।