
বরিশালে সাংবাদিক নির্যাতন, চাকরিচ্যুত সাংবাদিকদের পুনর্বহাল, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি।
শনিবার (৩ মে) "বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস" উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়, যা অশ্বিনী কুমার হলের সামনে থেকে শুরু হয়ে বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে এক সভায় পরিণত হয়।
বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আনিসুর রহমান খানের সভাপতিত্বে বক্তারা বলেন, “বাংলাদেশ সাংবাদিক নির্যাতনের সূচকে কিছুটা এগিয়ে থাকলেও এখনো সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নির্যাতন, হয়রানি, নিপীড়ন বন্ধ হয়নি। এখনও সাংবাদিক নির্যাতন, হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি এবং রুটি-রুজির অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে। বহু সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হয়েছেন, মিডিয়া হাউজগুলোতে বেতন ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মামলা দেয়া হচ্ছে, আর সাংবাদিকদের পেশাগত মান উন্নয়নে কোনো দৃষ্টি নেই। এর ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়নি।”
বক্তারা আরও বলেন, “অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া চাকরি হারানো সাংবাদিকদের পুনর্বহালের দাবি জানাচ্ছি। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সকল প্রকার হয়রানি, নির্যাতন ও নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। একই সঙ্গে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।”
সাম্প্রতিক বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির দুই সদস্যের ওপর কোর্ট চত্বরে হামলা, মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ার এবং ক্যামেরা ভাঙচুরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, “অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসন হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।”
ডেইলি স্টারের বরিশাল প্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, আরটিভি বরিশাল প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী খান জসিম, ইত্তেফাক বরিশাল ব্যুরো প্রধান শাহিন হাফিজ, চ্যানেল এস বরিশাল ব্যুরো প্রধান নজরুল বিশ্বাস, বৈশাখী টিভি বরিশালের প্রতিনিধি মিথুন সাহাসহ নির্যাতনের শিকার রিপোর্টার মনিরুল ইসলাম, ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেল। তাঁরা তাঁদের উপর হওয়া নির্যাতনের ভয়াবহতা তুলে ধরে এর বিচার দাবি করেন।