
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভার ডিজিজ ও যক্ষাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১ মাস না খেয়ে থাকা বাঘটি মারা গেছে। প্রায় একমাস যাবৎ খাদ্য গ্রহণ না করা এবং দেড়মাসের অসুস্থতায় ক্লান্ত বাঘটি সাফারি পার্কের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০ টার সময় বাঘটির মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পার্কের প্রকল্প পরিচালক মো. ইমরান হাসান।
তিনি জানান, ট্রিপোনোসোমিয়াসিস, লিভার ডিজিজ ও যক্ষাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে বাঘটির মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ বাঘটির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগে পরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটির স্বাস্থ্যের অবস্থা ক্রমসই সংকটাপন্ন হচ্ছিল এবং অবশেষে বাঘটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাঘটি কোনো অবস্হাতেই দাঁড়াতে পাচ্ছিল না।প্রায় দেড় মাসের অসুস্হতা এবং ১ মাসের না খাওয়ায় বাঘটির শরীরের ঘটন মাংস শূন্যহয়ে শুকিয়ে কঙ্কালের মতো হয়ে গিয়েছিল।যে কারনে কোন অবস্হাতেই বাঘটি বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী বনসংরক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পার্ক প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা বাঘ গুলোর মধ্যে একটি মাদী বাঘ দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগে আসছিল। গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে এটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে বাঘটি খাদ্য গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে বাঘটি খাবার গ্রহণ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়। মাঝে মধ্যে পানি খেলেও মাংস খাওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল বাঘটি। অসুস্থ বাঘটি ঢাকার কেন্দ্রীয় ভেটেরিনারি হাসপাতালের সাবেক প্রধান ভেটেরিনারি অফিসার এবিএম শহীদুল্লাহর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
বুধবার (১৫ মার্চ) বাঘটির মৃত্যুর পর পার্কেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকগণ ময়নাতদন্তের কাজ সম্পন্ন করেন। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, গত বছর জানুয়ারীতে পার্কে একটি বাঘ মারা যায়।বর্তমানে সাফারি পার্কে বাঘের সংখ্যা ৮টি, তার মধ্যে ৫টি মাদী ও ৩টি পুরুষ রয়েছে।