
হাতীবান্ধা সংবাদদাতা, লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে কৃষক পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়, তারা অর্ধশতাধিক সুপারির গাছ কেটে জমি দখল করেছেন।
বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগী জোসনা বেগম নামে এক নারী ৮ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এর আগে সকালে উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের পশ্চিম নওদাবাস গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেলে অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে স্থানীয় নিউজ পোর্টাল তিস্তা টিভির অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযুক্তরা হলেন- নওদাবাস ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল হাকিম (৫৫), স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম (৩৩), উমেদ আলী (৪৫), তরিকুল ইসলাম (২৫), মুকুল (৩৭), দুখু মিয়া (৩৫), শহিদুল ইসলাম (২৮) ও আরও কয়েকজন।
ভুক্তভোগী জোসনা বেগম (৫৫) জানান, তার অসুস্থ স্বামী নুর মোহাম্মদের পক্ষে তিনি অভিযোগ করেছেন। জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের পর বিষয়টি মীমাংসার জন্য সকালে ইউনিয়ন পরিষদে শালিসি বৈঠক ডাকা হয়। তবে অভিযুক্তরা বৈঠকে না এসে জোসনা বেগমের জমিতে গিয়ে সুপারি গাছ কেটে জমি দখল করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জোসনা বেগমের ছেলে জহুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে উমেদ আলীদের সঙ্গে ১৯ শতক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। স্থানীয়ভাবে শালিসি বৈঠকে বিষয়টি মীমাংসা হলেও তারা আবার জমি দখলের চেষ্টা করে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আব্দুল হাকিম ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম স্বশরীরে উপস্থিত থেকে জমি দখলের নেতৃত্ব দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল হাকিম বলেন, “আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। প্রমাণ দেখাক যে আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম।” স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম দাবি করেন, “আমি জমি দখলের বিষয়ে কিছু জানি না। আমি তখন ইউনিয়ন পরিষদে ছিলাম।”
হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন বলেন, “বিষয়টি এখনো বিস্তারিত জানি না।” একইভাবে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক নুরনবী খন্দকার কাজল জানান, তিনি বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছেন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন্নবী বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”