
বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে যুবলীগ নেতা রুবেল তালুকদারকে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে গিয়ে জনগণের তোপের মুখে পরেন বেলকুচি থানা পুলিশ সদস্যরা। এ সময় উত্তেজিত জনগণের তোপের মুখে পড়ে যুবলীগ কর্মীকে রুবেল তালুকদারকে ছাড়তে বাধ্য হোন। পরে পৌর মেয়র সাজ্জাদুল হক রেজা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা পৌর চালা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ কর্মী রুবেল তালুকদার চালা গ্রামে আরমান টেলিকম ফেক্সিলোড দোকানে ইফতারি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ সময় মোতালেব, পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার শিপন, সবুজ আকন্দসহ ১৫/২০ জন দোকানের ভিতর ঢুকে রুবেল তালুকদারকে এলোপাথারি মারপিট করেন। এর কিছুক্ষণ পরে বেলকুচি থানার পুলিশ সদস্যরা এসে ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া সময় জনগণ ঘিরে ধরে এ সময় পুলিশের কাছে ওয়ারেন্ট বা অভিযোগ পত্র দেখাতে বলেন। পুলিশ সদস্যরা অভিযোগ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হোন তখন তারা কৌশলে ওসি সাহেবের বরাদ দিয়ে বলেন ওসি সাহেব রুবেলকে নিয়ে যেতে বলেছে। তখন উত্তোজিত জনগণ ক্ষেপে গিয়ে পুলিশের উপর চড়া হোন। পুলিশ তখন বাধ্য হয় রুবেলকে ছেড়ে দিতে। পরে বিক্ষিপ্ত জনতা চালা বাজার এলাকায় পুলিশের এই অনৈতিক কাজের প্রতিবাদে মিছিল করেন।
এ বিষয়ে যুবলীগ কর্মী রুবেল তারুকদার বলেন, দুপুরে বেলকুচি বড়ধুল ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন মোল্লার সাথে উপজেলা গেটে মোটর সাইকেল ধাক্কা লাগে। এই বিষটাকে কেন্দ্র করে আজ সন্ধ্যায় চালা আরমান টেলিকম ফ্রেক্সিলোডের দোকানে ইফতারি করার প্রস্তুনি নিচ্ছি এসময় মোতালেব, পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার শিপন, মিলন, সবুজ আকন্দসহ ১৫ /২০ জন আমার উপর হামলা চালিয়ে চলে যায়। তার কিছুক্ষণ পর কিছু পুলিশ সদস্যরা এসে আমাকে কোন অভিযোগ ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেপ্তার করতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনগণের তেপের মুখে পরে আমাকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হোন।
বেলকুচি পৌরসভার মেয়র সাজ্জাদূল হক বলেন, আমি পৌরসভা থেকে বের হয়ে বাসায় ফিরছিলাম । চালা বাজার এলাকায় মানুষজন জমায়েত হয়েছে দেখে এগিয়ে আসি। এসে দেখি বিনা কারণে রুবেলকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তা দেখে স্থানীয়রা রুবেলের অপরাধ জানতে চায়। পুলিশ তার কোন সঠিক জবাব না দিতে পারায় বিক্ষিপ্ত জনতা তোপে পড়ে রুবেলকে রেখে চলে যায়। একটি নিরাপরাধ মানুষকে কারণ ছাড়া এভাবে ধরে নিয়ে যাওয়া কেমন আইন তা আমার জানা নেই।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন বলেন, দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে রুবেলের সাথে বড়ধূল ইউনিয়ন আওয়ামি লীগের সভাপতির ইয়াসিন মোল্লার সাথে ঝামেলা হয়েছিল এটা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে ছিলাম। সেই বিষয়টি জানার জন্য পুলিশ সদস্যদের পাঠিয়েছিলাম রুবেলকে থানায় ডেকে আনার জন্য। এই বিষয়টি নিয়ে এমনটি হবে তা আমার জানা ছিল না। পরে এ বিষয় নিয়ে দুই পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেছেন।