
সদর প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ:
আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কিশোরগঞ্জ জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৩৬৯টি গবাদিপশু। জেলার চাহিদা এক লাখ ৮০ হাজার ৯১১টি হলেও অতিরিক্ত প্রস্তুত রয়েছে ৩২ হাজার ৪৫৮টি পশু।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ৭০ হাজার ৭১টি ষাঁড়, ৪ হাজার ৬টি বলদ, ১৮ হাজার ৫৫৯টি গাভী, ১ হাজার ২৮৮টি মহিষ, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৬টি ছাগল, ৫ হাজার ৫১৬টি ভেড়া এবং অন্যান্য ৩৩টি পশু।
খামারিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে। তীব্র গরম থেকে পশুদের রক্ষা করতে ফ্যানের নিচে রাখা, নিয়মিত গোসল করানো ও পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
জেলার ৫৪২টি খামারে দেশি জাতের পাশাপাশি ফ্রিজিয়ান, শাহীওয়াল, ব্রাহামা ও ইন্ডিয়ান বোল্ডার প্রজাতির গরু লালন-পালন করা হচ্ছে। এসব গবাদিপশু প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে—ঘাস, খড়, কুটা ও ভূষির মতো দেশীয় খাদ্য খাইয়ে। ফলে ক্ষতিকর হরমোন বা ইনজেকশনবিহীন নিরাপদ পশু পেতে ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে।
স্থানীয় খামারি মো. ইসাসিন জানান, তার খামারে ২৩টি গরু প্রস্তুত রয়েছে, যেগুলো ৮-৯ মাস ধরে পরিচর্যা করা হয়েছে। তবে খাদ্যের দাম বাড়ায় খরচ কিছুটা বেড়েছে। অপর খামারি হিমেল মিয়া জানান, দেশীয় গরু দিয়েই এবারের কোরবানির চাহিদা পূরণ সম্ভব।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুভাষ চন্দ্র পণ্ডিত জানান, জেলার ৬৩টি গরুর হাটে ৪০টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। প্রতিটি হাটে থাকবে মেডিকেল টিম, যারা গবাদিপশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সনদ প্রদান করবেন। ক্রেতারা যেন সুস্থ ও মানসম্পন্ন পশু কিনতে পারেন, সে লক্ষ্যে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।