
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:
যশোরের কেশবপুর উপজেলার কন্দর্পপুরে ঘের মালিকের ভাড়াটে ও সহযোগীদের নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করেছেন এলাকাবাসী। গত মঙ্গলবার বিকেলে বানিয়াকুড় বিলের ঘেরপাড়ে কন্দর্পপুর গ্রামের পক্ষে আব্দুস সালাম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, প্রায় দুই বছর আগে একই গ্রামের অমল চক্রবর্তীর ছেলে অটল চক্রবর্ত্তী বানিয়াকুড় বিলে ১০ বিঘা জমি হারি নিয়ে ৫ বছরের মেয়াদে একটি মাছের ঘের তৈরি করেন। ঘের নির্মাণকালে তিনি সরকারি ইটের সোলিং রাস্তা বেড়িবাঁধ হিসেবে ব্যবহার করেন এবং তা প্রায় ২ ফুট উঁচু করে তোলেন। এতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী অন্তত ১৫-২০টি পরিবার চরম দুর্ভোগে পড়ে। এছাড়া গাজীপাড়ার বাসিন্দারা বর্ষায় জলাবদ্ধতায় পড়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে গাজীপাড়াবাসী ঘের মালিক অটল চক্রবর্ত্তীকে নিয়ম মেনে ঘের পরিচালনার আহ্বান জানালে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তার পক্ষে অবস্থান নিয়ে স্থানীয় মজিবার সানা ও তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান গাজীপাড়ার মানুষদের হুমকি-ধামকি দিতে থাকেন।
পরিস্থিতি অবনতির দিকে গেলে গত ১৮ মে জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইউনুস আলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ মে বিকেলে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেকসোনা খাতুন ও উপজেলা মৎস্য অফিসার সুদীপ বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ওইদিন বিকেলেই জাহাঙ্গীর হোসেনকে একা পেয়ে বটতলা মসজিদের পাশে মজিবার সানা ও তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর জখম করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর হোসেন কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও অভিযুক্ত মজিবার সানা ও তার ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান এখনো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন, আলী আজগর, আয়াতুল্লাহ আল খমেনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘের মালিকের পক্ষে নির্যাতনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঘের মালিক অটল চক্রবর্ত্তী বলেন, “আমার পক্ষে কেউ জাহাঙ্গীর হোসেনকে মারধর করেনি। তারা মিথ্যা বলছে।”