Date: May 06, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / চট্টগ্রাম / নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীরা থানায়, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্...

নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীরা থানায়, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা

June 26, 2024 11:11:05 AM   জেলা প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারীরা থানায়, ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা

আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আইনের সঠিক প্রয়োগ থাকলে, আইনের শাষণ বলবৎ থাকলে কোনো অপরাধী পার পেতে পারে না, সেটা আরেকবার প্রামাণিত হলো নোয়াখালী সদর থানায়। দেশেরপত্র পত্রিকার বিক্রয় প্রতিনিধিদের হেনস্থা করার অপরাধে অভিযুক্তদের নোয়াখালী সদর থানায় ডাকা হলে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন অভিযুক্তরা।

উল্লেখ্য গত ১৮ জুন ঈদের দ্বিতীয় দিন নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের চর করমুল্লা বাজারে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা বিক্রি করতে যান দেশেরপত্রের কয়েকজন বিক্রয় প্রতিনিধি। পত্রিকা বিক্রি শেষে বাজারের একটি হোটেলে নাস্তা করতে গেলে করমুল্লা বাজার কেন্দ্রীয় শাহী জামে মসজিদের খতিব আব্দুল্লাহ আল মারুফ মাদ্রাসার ছাত্রদের নিয়ে তাদেরকে হেনস্থা করে। সেখানে অনেক বচসা হয়। এ সময় খতিব আব্দুল্লাহ আল মারুফ লাইভে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অসংলগ্ন মিথ্যা কথা বলে অপপ্রচার চালায়। স্থানীয় লোকজনকে উসকে দিলে তারা হেযবুত তওহীদের সদস্যদের হাত থেকে পত্রিকা ছিনিয়ে নিয়ে জনসম্মুখে পুড়িয়ে দেয়। তারপরেও কোনো ধরনের সংঘাত, সংঘর্ষে না জড়িয়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যরা সেখান থেকে চলে আসে। বাইকে চলে আসার সময় তারা হেযবুত তওহীদের কয়েকজন সদস্যকে পেছন থেকে আঘাত করে। এতে করে কয়েকজন নীলা-ফুলা যখম হয়।

এ ঘটনায় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে গতকাল (২৫ জুন) থানা কর্তৃপক্ষ ঘটনার মূল হোতা চর করমুল্লা বাজারের ইমাম আব্দুল্লাহ আল মারুফসহ অভিযুক্তদের থানায় তলব করে। গতকাল মঙ্গলবা (২৫ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নোয়াখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইয়াসিন আরাফাত, এওজবালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনসহ স্থানীয় আলেম ওলামারা অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মারুফকে সাথে নিয়ে থানায় উপস্থিত হলে সেকেন্ড অফিসার শাহ আলমের উপস্থিতিতে বিষয়টির মীমাংসা হয়। সেখানে এসে তারা নিজেদের ভুল স্বীকার করে। পরবর্তীতে আইন হাতে তুলে নিবে না মর্মে অঙ্গীকার করে।

লাইভে এসে এমন অপপ্রচারের কারণ জানতে চাইলে এবং লাইভে উল্লিখিত বক্তব্যের প্রমাণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তোর দিতে পারেনি আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তাদের অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে প্রশাসন মৌখিকভাবে তাদেরকে শাসিয়ে দেয় এবং সাবধান করে দিয়ে ভবিষ্যতে এরকম বে-আইনী কর্মকাণ্ড না করার নির্দেশ দেয়।

হেযবুত তওহীদের নোয়াখালী সদর উপজেলার আমীর আশিক মাহমুদ জানান, আমাদের বৈধ কর্মকাণ্ডে তারা বাধা দিয়েছে। তারা ফেসবুকে লাইভে এসে মিথ্যাচার করেছে। তাদের এ ধরনের গুজব, মিথ্যাচারে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে। আমরা শান্তি বজায় রেখে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। থানায় তলবের পর তারা তাদের ভুল স্বীকার করেছেন। আমরাও মানবিক দিক বিবেচনা করে মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার দিকে যাইনি। আমরা বলেছি, তারা যদি পরবর্তীতে আর মিথ্যাচার না করে, অপপ্রচার না করে তাহলে তাদেরকে ক্ষমা করে দিতে আমাদের আপত্তি নেই।

“তবে ইতোপূর্বে বিভিন্ন ঘটনায় তাদেরকে হাবভাব দেখে মনে হতো তারা আইনের ঊর্ধ্বে। আজকের ঘটনার পর নিশ্চয়ই তারা আর এমনটা ভেবে বোকামি করবেন না। দেশে আইন আদালত রয়েছে এবং তার প্রয়োগও রয়েছে, বে-আইনি কাজ করে পার পেয়ে যাবার দিন শেষ বলে মন্তব্য করেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।”

তিনি বলেন,  প্রশাসন তাদেরকে মৌখিকভাবে শাসিয়েছেন, সতর্ক করে দিয়েছেন যাতে আইন-শৃঙ্খলার কোনো প্রকার অবনতি হয় এমন কার্যক্রম না ঘটে। অভিযুক্তরাও প্রাশাসনের সামনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা এধরনের বে-আইনি কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

হেযবুত তওহীদ একটি আইন মান্যকারী আন্দোলন। অন্যান্য সংগঠনের মতো হেযবুত তওহীদেরও তার বক্তব্য প্রচার করার অধিকার রয়েছে বলে মনে করেন হেযবুত তওহীদের এই নেতা।