
লালমনিরহাটে পারিবারিক কলহের জেরে হাসিনা বেগম (৩৮) নামে এক নারীকে হত্যা করে দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করেছেন তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম (৫০)। হত্যার পর মাথাটি সীমান্তের একটি তামাক ক্ষেতে পুঁতে রাখেন তিনি।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ৫ মার্চ লালমনিরহাট সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ফুলগাছ গ্রামের একটি ভুট্টাখেত থেকে অজ্ঞাত এক নারীর মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে হাতের আঙুলের ছাপ বিশ্লেষণ করে রংপুর সিআইডি নিশ্চিত করে, এটি আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর দীঘলটারী গ্রামের বাসিন্দা আশরাফুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী হাসিনা বেগমের মরদেহ।
হত্যার পর থেকে আশরাফুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী মেহেরুন্নেসা (৪৫) পলাতক ছিলেন। গত শুক্রবার বিকেলে পুলিশ মেহেরুন্নেসাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হাসিনার মাথা পুঁতে রাখার কথা স্বীকার করেন। পরে শনিবার আদিতমারী উপজেলার দূর্গাপুর এলাকার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের একটি তামাক ক্ষেত থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
রোববার বিকালে থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে শহরের খুটামারা এলাকা থেকে আশরাফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত হাসিনা বেগমের প্রথম বিয়ে হয় আশরাফুল ইসলামের সঙ্গেই। সংসারে এক কন্যাসন্তান জন্মের পর তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি নুর ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন এবং আরেক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। পরে আবারও তিনি আশরাফুলের সংসারে ফিরে আসেন এবং সেখানে আরও এক কন্যাসন্তানের জন্ম হয়।
বারবার কন্যাসন্তান জন্ম, দারিদ্র্য এবং পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।