Date: May 04, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / ব্যবসায়িরা দোকানকে বানিয়েছে গুদাম, সড়ককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

ব্যবসায়িরা দোকানকে বানিয়েছে গুদাম, সড়ককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান!

November 04, 2024 11:45:38 AM   উপজেলা প্রতিনিধি
ব্যবসায়িরা দোকানকে বানিয়েছে গুদাম, সড়ককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান!

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর শহরে সড়ক ও ফুটপাত দখল করে পণ্য রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রাস্তার পাশে রান্নার আয়োজন করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রান্নার কাজ করছেন হোটেল মালিকরা, যেখানে পথচারীরা হাঁটতে বাধ্য হচ্ছেন রান্না করা চুলার পাশ দিয়ে। শহরের অনেক দোকানি তাদের মালামাল ফুটপাতে রেখে ব্যবসা করায় পথচারীদের চলাচলও কঠিন হয়ে পড়েছে। ভিড়ের মধ্যে হাঁটতে বাধ্য হওয়া সাধারণ মানুষের জন্য এ অবস্থায় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দিন দিন বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের ১ নম্বর রেলঘুমটি এলাকা থেকে শহীদ ডাক্তার জিকরুল হক সড়কের জিআরজি হোটেল এবং শহীদ ডাক্তার শামসুল সড়কের দুই পাশের ফুটপাতেও রাস্তা দখল করে মালামাল রাখা হয়েছে। কিছু ব্যবসায়ী তাদের দোকানের সামনে হকারদের জায়গা ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন ৪-৫শ টাকা আদায় করছেন। রেললাইনের দুই পাশ দখল করে অনেকেই পুরাতন গরম কাপড়ের ব্যবসা চালাচ্ছেন। শহরের প্রায় ৮০% ব্যবসায়ী দোকানকে গোডাউন আর রাস্তার জায়গাকে দোকানে পরিণত করেছেন।

saidpur-1.jpg

তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে আধুনিক প্লাজা মার্কেটের আশপাশের সড়কেও একইভাবে দখলদারির মাধ্যমে রমরমা ব্যবসা চলছে। সৈয়দপুর-রংপুর সড়ক এবং বাবু তুলশিরাম আগরওয়াল সড়কের পরিস্থিতিও একই রকম। সড়কগুলোতে রড-সিমেন্ট, সাইকেল পার্টস, পানির পাম্প, ফার্নিচার, ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপ, জুতা-স্যান্ডেলের দোকানের কারণে ফুটপাতে চলাচল করা দুরূহ হয়ে উঠেছে।

সৈয়দপুর পৌর পরিষদ প্রায় ৫ হাজার রিকশা ও অটোরিকশার চলাচলের অনুমতি দিলেও সড়কে কোনো স্থায়ী স্ট্যান্ড না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যস্ত সড়কেই সেগুলো দাঁড়িয়ে থাকে, যা যানবাহন ও পথচারীদের জন্য আরও দুর্ভোগ সৃষ্টি করছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই আলম সিদ্দিকি বলেন, “আগে দলীয় মেয়র ও পৌর পরিষদের লোকজনের কারণে ব্যবসায়ীরা রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে নিয়েছিল। আমি দায়িত্ব পাওয়ার দেড় মাসের মধ্যে শহরের রাস্তা ও অবকাঠামো উন্নয়নে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী এক মাসের মধ্যে শহরের প্রতিটি রাস্তা সংস্কার এবং ফুটপাত দখলমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, ইনশাআল্লাহ। সরকারের চাকরি করি এবং জনগণের সুবিধার্থে সৈয়দপুর শহরকে যানজটমুক্ত করতেই হবে।”

এছাড়া তিনি জনগণের সহায়তা কামনা করেছেন যেন দ্রুত শহরের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়।