
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় খেলার মাঠ থেকে ফুটবল বাড়িতে যাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বাবা ও ছেলে গুরুতর জখম হয়েছেন। ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান আকন্দের (৫৫) মাথার খুলি ভেঙে গেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম মুন্নার (১৭) মাথায় ১১টি সেলাই লেগেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকালে উপজেলার দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।
আহতরা হলেন কৈলাটী ইউনিয়নের দক্ষিণ কান্দাপাড়া গ্রামের হাবিবুর রহমান আকন্দ ও তার ছেলে জাহিদুল ইসলাম মুন্না। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন একই গ্রামের মো. এমদাদুল হক সলি (৩৮) ও মো. বাবুল মিয়া (৫৫)।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রামের শিশুরা একটি মাঠে ফুটবল খেলছিল। খেলার একপর্যায়ে বলটি মাঠের পাশে আবু সাহিদের বাড়িতে পড়লে প্রতিবেশী এমদাদুল, বাবুল, মোশারফ ও হেলিমসহ কয়েকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তারা রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাবিবুর ও তার ছেলে জাহিদুলের ওপর হামলা চালান। এতে বাবা-ছেলে দুজনই গুরুতর আহত হন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে হাবিবুর রহমানের ভাই আবু সাহিদ বাদী হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এমদাদুল ও বাবুলকে গ্রেপ্তার করে।
আহত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে ও গণমাধ্যমকর্মী রানা আকন্দ বলেন, "তুচ্ছ ঘটনায় আমার বাবা ও ছোট ভাইকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক, মাথার খুলি ভেঙে রক্তপাত হয়েছে। তিনি এখন ঢামেকে চিকিৎসাধীন এবং শঙ্কামুক্ত নন। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"
কলমাকান্দা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) লুৎফুর রহমান জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে এবং দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে অপর পক্ষেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে পা ভাঙা অবস্থায় একজন আসামি কলমাকান্দা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।