
মসজিদের টাকা আত্মসাতের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগে বিএনপিকে জড়িয়ে মানববন্ধন করে সম্মানহানি এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় আয়োজকদের বিচার চেয়েছেন জাতীয়তাবাদী কৃষকদল জেলা কমিটির সদস্য মো. রুহুল আমিন (আল আমিন)। রবিবার দুপুরে গাইবান্ধা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রশাসনের কাছে এই বিচার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষকদল নেতা মো. রুহুল আমিন বলেন, গাইবান্ধার কলেজ রোডের কনকরায় গোবিন্দপুর এলাকায় আল আকসা সালাফি মসজিদের ১১ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ২ মে শুক্রবার আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন কতিপয় ব্যক্তি। প্রকৃতপক্ষে আমি উক্ত মসজিদের সভাপতি এবং আমার পৈতৃক তিন শতক জমির উপর ২০২৩ সালে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। জায়গাটির মূল্য নির্ধারিত হয় ১৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে দুই বছর ধরে মসজিদ কমিটি বিভিন্ন সময়ে ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা পরিশোধ করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রায় ছয় মাস আগে জমির রেজিস্ট্রি করতে গিয়ে মসজিদের নামে নথিভুক্তি নিয়ে কমিটিতে বিভক্তি দেখা দেয়, যার ফলে রেজিস্ট্রি স্থগিত হয়ে যায়। বিষয়টি বর্তমানে সদর থানা পুলিশের সালিশি বৈঠকে মীমাংসাধীন রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে কমিটির সাবেক ক্যাশিয়ার মাসুম ও তার অনুসারীরা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে এবং কমিটির সেক্রেটারি মোমিনকে অভিযুক্ত করে। তারা ভাড়াটে লোকজন দিয়ে মানববন্ধনের নামে অপপ্রচার চালায়। এ সময় তারা মসজিদের সাইনবোর্ড ভেঙে ফেলে এবং জুম্মার নামাজ পড়াতে আসা খতিব শায়েখ মো. বেলালকে লাঞ্ছিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষকদল নেতা মো. রুহুল আমিন দলের ভাবমূর্তি ও ব্যক্তিগত সুনাম ক্ষুণ্ন করায় মানববন্ধনের আয়োজক মাসুম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাবু, খতিব শায়েখ মো. বেলালসহ মসজিদ কমিটির সদস্যরা।