
আশিকুর রহমান:
গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের ছাত্রকে অপহরণ ও পায়ের রগ কর্তনের ঘটনায় মূল আসামী রবিন সরদারকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। বৃহস্পতিবার(১৩ সেপ্টেম্বর) এয়ারপোর্ট পুলিশের সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বাসন থানায় তাকে নিয়ে আসা হয়।
জানা যায়, আহত ফেরদৌস গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের স্নাতকোত্তর বর্ষের ছাত্র। গ্রেফতারকৃত রবিন সরদার ওরফে নুরুজ্জামান সরদার শরিয়তপুর জেলার গোসাইহাট থানাধীন মোল্লাকান্দা গ্রামের মৃত রুহুল আমীন সরদারের ছেলে। সে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের ছাত্র। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, গণধর্ষণ, চুরিসহ ২১টি মামলা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, জিএমপি'র উপ-পুলিশ কমিশনার(অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মোঃ শামছুর রহমান।
তিনি আরো জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর (রবিবার) বিকালে রবিন সরদার ও তার দলবল কলেজ ছাত্র ফেরদৌসকে গাড়িযোগে অপরহণের পর ছুরিকাঘাত করে। অপহরণের খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ আহত অবস্থায় ফেরদৌসকে গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন হলিল্যাব হাসপাতালের সামনে থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ফেরদৌসের মা বাদী হয়ে রবিন সরদারসহ আরো ২২ জনের বিরুদ্ধে বাসন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রবিন সরদাকে গ্রেফতারে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযানে নামে। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট পুলিশের সহায়তায় রবিন সরদাকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জিএমপি পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আরো জানান, রবিনকে গ্রেফতারের পর তার দেয়া তথ্যমতে, ভাওয়ার কলেজের উত্তর পাশে সুইপার কলোনির পরিত্যাক্ত একটি টিনশেডের ঘর থেকে ০৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, আসামী রবিন সরদারকে আদালতে প্রেরণ এবং সাত রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।