
লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত সাইবার সিকিউরিটি কমিটির সদস্য শিক্ষক মো. সোবহানকে আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে লক্ষ্মীপুর প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা।
সোবহান লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রনিক্স বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে (অস্থায়ী) কর্মরত ছিলেন। তিনি আওয়ামীপন্থি হিসেবে পরিচিত।
জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলাম সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেন, যার নাম দেওয়া হয় সাইবার সিকিউরিটি কমিটি। এই কমিটির সদস্য ছিলেন মো. সোবহান। ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। সম্প্রতি তাকে লক্ষ্মীপুরে দেখা গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা সোবহান নামের একজনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে এবং তিনি বর্তমানে আটক রয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ জুলাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ এবং শিক্ষার্থীদের ফেসবুক গ্রুপ ও পেজ নজরদারির জন্য শিক্ষকদের সমন্বয়ে সাইবার সিকিউরিটি কমিটি গঠন করা হয়। উসকানিমূলক পোস্ট দিলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গঠিত এই কমিটিতে সোবহান ছাড়াও আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পান চিফ ইনস্ট্রাক্টর (নন-টেক) আতিকুর রহমান। সদস্য সচিব হিসেবে ছিলেন ইন্সট্রাক্টর (টেক/কম্পিউটার) খালেদ হোসেন। এছাড়া সদস্য হিসেবে ছিলেন ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/কম্পিউটার) মারুফ হোসেন, ইন্সট্রাক্টর ও বিভাগীয় প্রধান (টেক/ইলেকট্রিক্যাল) রিয়াজ হায়দার পাবেল, জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (টেক-ইলেকট্রনিক্স) কাকন চন্দ্র দাস এবং জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর (নন-টেক) মোশাররফ হোসেন।