
লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুণ্ডা ইউনিয়নের ফকিরটারী গ্রামে ৯ বছরের তৃতীয় শ্রেণীর মাদ্রাসা শিক্ষার্থী শাকিলকে মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনার পর পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।
১১ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ শাকিলের মৃতদেহ সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। শাকিল গত মঙ্গলবার সকালে নিখোঁজ হয়। রাতে একটি নম্বর থেকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। শাকিলের পরিবার ওই নম্বরটি সদর থানায় প্রদান করলে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে সোহান (১৮) নামক এক যুবক, তার বাবা-মাকে আটক করে। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে সোহানসহ পরিবারের সদস্যরা শাকিলকে হত্যা করে সুপারি গাছের কাছে রেখে দেয়ার কথা স্বীকার করে।
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার বিকেল থেকে লালমনিরহাট সদর থানা, ডিবি পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সোহানের বাড়ির পিছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ উদ্ধার করার পর আশপাশের মানুষজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। ময়নাতদন্তের জন্য শাকিলের মরদেহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত শাকিলের বাবা শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামে থাকেন, তার মা একজন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। শাকিল তার নানির সাথে লালমনিরহাটে থাকতো এবং পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করত।
লালমনিরহাট সদর সার্কেল (এসপি) ফজলুল হক জানান, তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে তিনজনকে আটক করা হয় এবং তাদের দেওয়া তথ্যমতে শাকিলের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।