
সুনামগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি, অশ্লীল ভিডিও ধারণ এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামানের বিচারের দাবিতে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে একই স্থানে মানববন্ধনে রূপ নেয়। ব্যানার ও প্ল্যাকার্ড হাতে অভিভাবক ও স্থানীয়রা এতে অংশ নেন। মানববন্ধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মো. জাকির হোসেন এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আলহাজ্ব মতিউর রহমান কলেজের প্রভাষক মো. খোরশেদ আলম।
এসময় বক্তব্য দেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ রানা, আলী আকবর, আবু তাহের, মাইনুদ্দিন, তরিকুল ইসলাম, এনামুল, ওয়াসিম, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ। তারা বলেন, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজিত শিক্ষা সফরে সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ছাত্রীদের প্রতি অশোভন আচরণ করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি বাসে উচ্চ শব্দে সংগীত চালিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দিয়ে অশালীন নাচানাচি করান এবং প্রাপ্তবয়স্ক ছাত্রীদের জোরপূর্বক স্পর্শ করেন, এমনকি হাত ধরে নাচতে বাধ্য করেন।
বক্তারা আরও বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে এমন আচরণ অমার্জনীয়। তিনি শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তাকে দ্রুত অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে, যাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ রক্ষা পায়।
এ ঘটনায় গত ৫ মে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা), সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১১টার দিকে তদন্তে আসেন সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান এবং সদর উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আরিফুল ইসলাম।
সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্তে এসেছি। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তদন্ত রিপোর্ট জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”