
শরীয়তপুর সদরের আটং গ্রামে একটি মাদ্রাসার নাম ভাঙিয়ে জমি দখলের পায়তারার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সেক্রেটারি দাবিদার আমির হোসেন কোটারি নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সরেজমিনে মাদ্রাসার সাইনবোর্ড ছাড়া কোনো অস্তিত্ব না থাকলেও জমির মালিককে দখল না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন জমির মালিক একই গ্রামের দেলোয়ার ব্যাপারী।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, আটং উচ্চ বিদ্যালয়ের বাউন্ডারির ভেতর একচালা ছোট একটি টিনের ঘর রয়েছে। এখানে প্রায় চার দশক আগে মাদ্রাসা ছিল; পরবর্তীতে এটি নামাজঘর হিসেবে ব্যবহার হতো। কয়েকমাস আগে ঝড়ে ঘরটি ভেঙে যায় বলে জানান স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা।বর্তমানে টিনের ঘর থাকলেও সেখানে চাল নেই, জরাজীর্ণ টিনের বেড়া থাকলেও তাতে মরিচা ধরে গেছে।
দেলোয়ার বেপারীর অভিযোগ, ওই স্থানে মাদ্রাসা চালু হলে তিনি ফসল দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। পরবর্তীতে ১২ বছর আগে মাদ্রাস চালু না থাকায় তিনি তার জমির দখল বুঝে চান। এ ব্যাপারে চিকন্দি কোর্টে মামলার পর জমির দখলের পক্ষে রায় ও ডিগ্রি পেলে সেই রায় ও ডিক্রির বিরুদ্ধে আমির হোসেন মামলা করেন । আমির হোসেন মামলা করে আজ ১২ বছর ঘুরাচ্ছে বলেও অভিযোগ তার।
তিনি আরও বলেন, আমি মাদ্রাসার নামে ফসল দিয়েছিলাম। জমি দেই নেই। মাদ্রাসা চললে ফসল নিবে। মাদ্রাসা না চললে আমার জমি আমাকে দিয়া দিবে। এখন মাদ্রাসা না চললেও আমার জমিতে যেতে বাঁধা দেয়। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আটং বাজারের এক ব্যবসায়ী জানায়, ছোট এই ঘরটিতে আগে নামাজ পড়তাম। আর ফোরকানীয়া মাদ্রাসা ছিল ৪০ বছর আগে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হানিফ শিকদার বলেন, এখানে অনেক আগে একটা মাদ্রাসা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মাদ্রাসা হয় নাই। জমিদাতা তখন বলছিল যদি মাদ্রাসা হয় তাহলে আমি এই জমির ফসল অর্পণ করবো। মাদ্রাসা না হলে কাগজে লেখা আছে যার জমি সেই ফেরত পাবে। অথবা ফেরত নিবে। কিছু অসাধু লোক আছে তারা মালিকানা রেকর্ড করে নিয়ে গেছে। মাদ্রাসা নাই। মাদ্রাসার নামে মিথ্যাভাবে একটা জমি রেকর্ড করিয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সেক্রেটারি দাবিদার আমির হোসেন কোটারী বলেন, মালেক ব্যাপারী মাদ্রাসা জমি দলিল করে দিয়ে আবার ২০১২ সালে গোপনে গোপনে ডিগ্রি করিয়েছে। যখন আমরা জানতে পারছি তখন আমরা ডিগ্রির বিরুদ্ধে আপিল করায়ছি। সেই আপিল গত সপ্তাহে মঞ্জুর হয়েছে। মামলা এখন রানিং হয়েছে। যদি জমি সে পায় তাহলে নিয়ে নেবে।