Date: May 04, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / সৈয়দপুরে তৈরি জ্যাকেট রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

সৈয়দপুরে তৈরি জ্যাকেট রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

November 15, 2024 08:17:20 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
সৈয়দপুরে তৈরি জ্যাকেট রপ্তানি হচ্ছে বিদেশে

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
শীতের প্রাথমিক আমেজ শুরু না হলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে শীতের পোশাক—বিশেষত জ্যাকেট ও মোবাইল প্যান্ট—রপ্তানি শুরু হয়েছে। এসব পোশাক ভারত, নেপাল এবং ভুটানসহ দেশের বাজারেও বিক্রি হচ্ছে।

সৈয়দপুরের পোশাক প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, চলতি শীত মৌসুমে প্রায় ১০ কোটি টাকার পোশাক তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই রপ্তানি হবে পাশের দেশ ভারতে।

সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস মালিক সমিতির তথ্য অনুযায়ী, শীত আসার আগেই শহরের প্রায় ৫০০টি ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানায় জ্যাকেট ও মোবাইল প্যান্ট তৈরির কাজ শুরু হয়। এসব কারখানায় ব্যবহৃত কাঁচামাল ঢাকার চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জের বড় গার্মেন্টস থেকে সংগ্রহ করা ঝুট কাপড়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা কারখানাগুলোতে ১০ থেকে ২০০টি মেশিন দিয়ে দিনরাত পোশাক তৈরি চলছে।

শহরের নিমবাগান মহল্লার বাসিন্দা মো. রাজু তার কারখানায় শতাধিক মেশিন নিয়ে কাজ করছেন। তিনি জানান, তার কারখানায় তৈরি পোশাকগুলোর বড় একটি অংশ ভারতের শিলিগুড়িতে পাঠানো হবে।

রাজু বলেন, "চলতি মৌসুমে সৈয়দপুর থেকে প্রায় ১০-১২ কোটি টাকার জ্যাকেট ভারতে রপ্তানি হবে। নেপাল ও ভুটানে যাবে আরও দুই কোটি টাকার জ্যাকেট।"

এছাড়া, নয়াটোলা মহল্লার গার্মেন্টস মালিক বাবু জানান, তিনি দুই কোটি টাকার অর্ডার পেয়েছেন, যা নভেম্বরের শেষের দিকে কলকাতায় পাঠানো হবে।

শহরের মুন্সিপাড়া, সাহেবপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, কয়ানিজপাড়া, চাঁদনগর, ও সৈয়দপুর প্লাজা মার্কেটসহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা কারখানাগুলো থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি ছাড়াও দেশের পাইকারি বাজারেও সরবরাহ করা হয়। প্রতিটি জ্যাকেটের পাইকারি মূল্য ৩০০ থেকে ২,০০০ টাকা।

সৈয়দপুর রপ্তানিমুখী ক্ষুদ্র গার্মেন্টস কারখানা মালিক সমিতির সভাপতি আখতার খান বলেন, "ব্যাংকগুলো যদি কম সুদে ঋণ দিতো, তাহলে এ ব্যবসা আরও বড় করা সম্ভব হতো।"

তিনি জানান, সৈয়দপুরের বেশিরভাগ কারখানা রেলের জমিতে হওয়ায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সহজে ঋণ দিতে চায় না। এ বিষয়ে তিনি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, "সরকারি সহযোগিতা পেলে কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ানো যেতো।"

রপ্তানির এই সাফল্য সৈয়দপুরের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বড় সম্ভাবনার দরজা খুলেছে। তবে সরকারি সহায়তা ও ব্যাংক ঋণ সহজলভ্য হলে এই শিল্পে আরও অগ্রগতি সম্ভব।