Date: May 03, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ময়মনসিংহ / ১৮ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী হেনার বীর নিবাস - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকা...

১৮ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী হেনার বীর নিবাস

April 03, 2023 02:24:56 AM   দেশজুড়ে ডেস্ক
১৮ মাসেও আলোর মুখ দেখেনি বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী হেনার বীর নিবাস

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ১৮ মাস মাসেও আলোর মুখ দেখেনি বীর নিবাসের মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হেনা বেওয়া। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে পৌরসভার পালবাড়ী (পপুলার মোড়) এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আঃ রহমান খাঁন (চাঁন খা) এর বিধবা স্ত্রী হেনা বেওয়া মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা গেছে।

অসহায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পের অধীনে বীর নিবাস নির্মান শুরু করা হয়। সরিষাবাড়ী উপজেলায় প্রথম পর্যায়ের ১১টি বীর নিবাস নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় পৌরসভার পালবাড়ী (পপুলার মোড়) এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আঃ রহমান খাঁন (চাঁন খা)এর পরিবারের জন্য বীর নিবাস নির্মানের কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজের প্রতিটি স্তরে ১নং ইট, সিমেন্ট, বালু ও খোয়ার অনুপাত মানা হয়নি বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম চাঁন খা এর বিধবা স্ত্রী হেনা বেওয়া অভিযোগ করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের কাছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ করলে তারা ভিটি পর্যন্ত কাজ করে হঠাৎ বন্ধ করে দেয়।

হতাশাগ্রস্থ হেনা বেওয়া বলেন, রাজু ডিলার (ঠিকাদার রাজু) সিমেন্টের দাম বেড়ে যাওয়ার ওজুহাতে কাজ বন্ধ করেছেন। রাজু ডিলার তাকে জানিয়েছেন দাম কমলেই কাজ শুরু করা হবে। হেনা বেওয়া প্রশাসনে কোন ধরনের অভিযোগ না করলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলেন, ‘কেস (অভিযোগ) করে কি করতে পারবেন’? তাদের বাবা ডেকেও কোন লাভ হয়নি বলে তিনি হেনা বেওয়া জানান। ১ পুত্র ৪ কন্যার মা হেনা বেওয়া বীর নিবাস নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় সীমাহীন কষ্টের কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। বর্তমানে অবিাহিত কন্যাকে নিয়ে বড় কন্যা রুমি আক্তারের খুপড়ি ঘরে অনেক কষ্টে রাত্রীযাপন করছেন।

একাধিক মুক্তিযোদ্ধা পরিবার তাদের বীর নিবাস নির্মাণ কাজে গুরুতর অনিয়ম করার অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্প কার্যালয় থেকে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে স্থানীয় রাজু ডিলারের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। দেশের বীর নিবাস নির্মাণে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির একাধিক অভিযোগের কারণে অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্প মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এম. ইদ্রিস সিদ্দিকী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণের কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।  

এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, অস্বচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মান প্রকল্পের বিষয়টি উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তদারকি করছেন। এ বিষয়ে আমি জানি না।

জানতে চেয়ে উপজলো প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবিরকে একাধিকবার ফোন দিলে বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপমা ফারিসা বলেন, আমি ছুটিতে রয়েছি। বিষয়টি যাচাই করে আপনাদের জানাবো।