
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীর।
বুধবার সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের পুরাতন শহর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শহরের জিরো পয়েন্ট শাপলা চত্ত্বর এলাকায় দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টাব্যাপি সড়ক অবরোধ করে। এক পর্যায়ে জেলা পরিষদ হলরুমে জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত কমিটির পরিচিতি ও আলোচনা সভাস্থলের বাইরে সড়কে অবস্থান নেয় নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক মো: মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ও সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. আব্দুস সালামের ছবি সম্বলিত ব্যান্যার-ফেস্টুন ছিড়ে রাস্তায় পুড়িয়ে ফেলে।
সড়ক অবরোধ করায় বন্ধ হয়ে যায় শহরের যান চলাচল। পরে কুড়িগ্রাম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুড়িগ্রাম সার্কেল) একেএম ওহিদুন্নবী ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ফরিদ হোসেন ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিক্ষোভকারী নেতা কর্মীদের দাবী, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহম্মেদকে আহবায়ক কমিটির গুরুত্বপুর্ণ পদে না রেখে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে যা সামনে জাতীয় নির্বাচনে দলের ক্ষতির কারন হয়ে দাড়াবে। এ কারনে তারা জেলা পরিষদ হলরুমের বর্তমান আহবায়ক কমিটির আহবায়ক সাবেক এমপি মোস্তাফিজার রহমানের নেতৃত্বে বর্ধিত সভা বর্জন করে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে। অবিলম্বে হাইব্রিড নেতাদের দিয়ে পাতানো কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা জতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক ও কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ পনির উদ্দিন আহমেদ বলেন, তিন উপজেলার যে সমস্ত নেতা-কর্মী পদবঞ্চিত হয়েছেন তারাই মূলত আজকের কর্মসূচি দিয়েছে। ত্যাগীরা পদবঞ্চিত হওয়ায় তারা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেছে। এর বাইরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টিও সদস্য সচিব অবসরপ্রাপ্ত মেজর আব্দুস সালাম জানান, যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা নেক্কারজনক কাজ করেছে। উদ্দিশ্য প্রনোদিত ভাবে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে জেলা পরিষদ হলরুমে জেলা জাতীয় পার্টির গঠিত পরিচিতি সভায় বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মেজর আব্দুস সালামসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা। চলতি বছরের ২৭ জুন জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক কমিটি গঠিত হয়।