
সমাজে নারীরা যখন পরিশ্রম আর মেধা কাজে লাগিয়ে কোন বিষয়ে সাফল্য অর্জন করে, তখনই মনে পড়ে নারী জাগরণের সেই মহিমা নারী কবি সুফিয়া কামালের কথা। এক সময় নারীরা সমাজে অবহেলিত থাকলেও , বর্তমানে নরীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই বললেই চলে। যেমন দেশের প্রধান মন্ত্রী নারী, বিভিন্ন মন্ত্রনালয় ও প্রশাসন ক্যাডারে আর্মি, পুলিশ, নৌবাহীনী ,বিমান বাহিনী এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীরা দক্ষতার সাথে কাজ করে বহির্বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে। এতে করে তারা বুঝিয়েছে নারীরা কোন কাজে পিছিয়ে নেই। তারই ধারবিাহিকতায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ এ গাজীপুর জেলা পর্যায়ে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, শিক্ষক,শিক্ষিকা ও ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হয়েছে।
মানুষের সততা পরিশ্রমই সাফল্যের চাবিকাঠি: প্রবাদ আছে প্ররিশ্রমে অন্য আসে সাখে আসে সুখ, অলসতায় দারিদ্র আনে সাথে আনে দুঃখ। এই প্রবাদবাক্য যুগযুগ ধরে জ্ঞান পিপাসু মানুষের মনে স্থান করে দিয়েছে। তারই প্রমান করলেন শ্রীপুরে এক প্ররিশ্রমি, মেধাবী শিক্ষিকা ও মানুষ গড়ার কারিগর ৮৯নং কেওয়া পশ্চিমখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন।
জন্ম ১৯৭২সালে, বাবার হাত ধরে হাতেখড়ি শিক্ষা শুরু। স্কুল, কলেজ জীবনে মেধা তালিকায় সবসময় সুনাম অর্জন করেছে। এলাকায় শিষ্টাচার খ্যাত ফরিদা ইয়াছমিন সবসময় পিতা-মাতা, শিক্ষ ও এলাকার মরুব্বিদের সম্মান করতে কোন সময় ভুলেনি। তাঁর মনের ইচ্ছা জাগে কর্ম জীবনেই মানুষের সেবা করবেন, তাই তিনি শিক্ষকতা পেশাকে বেছে নিয়ে ১৯৯৩ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন, গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, শ্রীপুর পৌরসাভা ৯নং ওয়ার্ডের শিক্ষা অনুরাগী মরহুম ছোরত আলী মাতাব্বর ও মরহুম আব্দুল ছামাদ মুন্সীর প্রতিষ্ঠাতায় ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ৮৯নং কেওয়া পশ্চিমখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বাংলার সফল রাষ্ট্র নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্য অর্জনে এবং বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকারের জাতীয় শিক্ষা কার্যক্রমগুলি বাস্তবায়ন করতে প্রশাসনের দিক নির্দেশনায় কাজ করেন।
এছারাও গাজীপুর ৩আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব অ্যাডঃ রহমত আলী এবং গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাজীপুর ৩আসনের সংসদ সদস্য মুহামম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজের পরামর্শে, স্কুল কমিটির ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহযোগিতা নিয়ে এক সময়ের ঝড়াজীর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি আজ উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়েছে, এবং ও জেলা পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা, শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত হওয়া এলাকার সাধারণ মানুষ, অভিভারক বৃন্দ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে আনন্দের জোয়ার বয়ছে।
স্কুলের সহ-সভাপতি বকুল মাতাব্বর জানান এই এলাকায় এক সময় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, এলাকার মানুষ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার লক্ষ্যে ১৯৬৯সালে আমার বাবা জমি দিয়ে এই স্কুলটি ছিল প্রতিষ্ঠা করেন। আজ স্কুলটি শ্রীপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ায় আমার পরিবার সহ আমরা এলাকাবাসী গর্বীত।
শ্রীপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন বি.এ, জানায়, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দেশের রাস্তা ঘাট, ঢাকা উড়াল সেতু, পদ্মা সেতু, মেট্রো রেল, সহ-নানা ধরণের উন্নয়ন কাজ হয়েছে। এরই মধ্যে গাজীপুর ৩আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারের সকল উন্নয়নের অংশ হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন মূলক কাজ করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ২তলা ভবনটি সরকারি অনুদানে গাজীপুর ৩আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ করেছেন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন একজন পরিশ্রমি মেধাবী শিক্ষক এবং ভালো মানের শিক্ষক হিসেবে এলাকায় বেশ পরিচিত। তিনিএই স্কুলে যোগদান করার পর থেকে পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে স্কুলটি শ্রীপুর উপজেলায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান এবং গাজীপুর জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা ও শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত হওয়ায় শ্রীপুর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের সকলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।
৫৪ বছর পর উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষিকা এবং শ্রেষ্ঠ ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচিত হওয়ায় কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান, মানুষের পরিশ্রম আর মেধা কাজে লােিগয়ে যে কোন সময় সফলতা অর্জন করা যায়। ৮৯নং কেওয়া পশ্চিমখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি মানস্মত শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়নে প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও পিটিএ কমিটি সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
সরকারের অনুদানে, গাজীপুর ৩আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ’র প্রচেষ্টায় ২তলা ভবন হয়েছে, মাঠের মাটি ভরাট সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে কাজ চলমান আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিনের প্ররিশ্রম আর মেধা এবং সকলের সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান উপজেলা শ্রেষ্ঠ, প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটি জেলায় শ্রেষ্ঠ নির্বাচিত হওয়ায় আমি প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে মনে করি এই শ্রেষ্ঠত্ব আমাদের সকলের। সকলের সহযোগিতা নিয়ে সামনে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ফরিদা ইয়াছমিন জেলায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকা নির্বাচিত হওয়ায় তাঁর অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি এই প্রতিষ্ঠানে ২৩ বছর যাবৎ আমি আমরা মেধা ও শ্রমদিয়ে সাথে সু-দক্ষ শিক্ষক টিম নিয়ে, এস এমসি, পিটিএ, ও এলাকার সর্ব স্তরের জনগণ নিয়ে একটি মান সম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের অনুদানে সকলের সহযোগিতা কাজ করেছি প্রতিষ্ঠাটি উপজেলা শ্রেষ্ঠ এবং প্রধান শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটি জেলায় শ্রেষ্ঠ হয়েছে, আমি মনে করি এই শ্রেষ্ঠত্ব শুধু আমার একার নয়’ এইটা সকলের।