
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আলাউদ্দীন মহসিন বলেছেন, “ছাত্রদল বা বিএনপির নাম ব্যবহার করে কেউ ক্যাম্পাসে অন্যায় করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদল বা বিএনপির নাম ব্যবহার করে ক্যাম্পাসে কেউ অন্যায় কোনো কিছু করলে সে যেই হোক, আমরা তাকে ছাড় দেব না। প্রমাণসহ আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।”
অতীতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রনেতাদের অসামাজিক ও অপ্রীতিকর কার্যক্রম এবং পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্ররাজনীতি, রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর কার্যক্রম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হলে এসব কথা বলেন আলাউদ্দীন মহসিন।
আলাউদ্দিন মহসিন তার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “আমার স্বপ্ন ক্যাম্পাস সবার জন্য নিরাপদ হোক। যোগ্যতার ভিত্তিতে শিক্ষার্থীরা হল ও অনুষদে দায়িত্ব পাক। রাজনৈতিক ব্যানারে প্রভাব খাটিয়ে কেউ যেন সুবিধা নিতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।” ছাত্রদল সভাপতি অতীতের রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাসে সহাবস্থান এবং নিরাপত্তা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।
উল্লেখ্য ছাত্র-জনতার প্রাণক্ষয়ী আন্দোলনের পর গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ও শেখ হাসিনার দেশ থেকে পলায়নের পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে চবি ক্যাম্পাসের। ওইদিন দুপুরের পরেই হলে থাকা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যান। এরপর তাদের নানা ‘কুকীর্তি’ সামনে আসছে। এরই মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুসহ ১৩ নেতাকর্মীর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন খাবারের দোকান থেকে ‘ফাও’ খাওয়ার একটা তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এদিকে শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ামাত্র দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সাথে সাথে ক্যাম্পাসে ছাত্রদল-বিএনপির পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন দোকানসহ নানা কিছু দখল-চেষ্টার অভিযোগ উঠতে শুরু করে।