
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কে গাড়িচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় তার সহপাঠীরা সড়ক অবরোধ করেছে। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় নগরীর আমতলা মোড় এলাকায় শিক্ষার্থীরা এ অবরোধ কর্মসূচি পালন করে।
নিহত স্কুলছাত্র মো. ওহি (১৩) বরিশাল ব্যাপ্টিস্ট মিশন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত ওহির বাবা মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. হাসান এবং মা মাকসুদা আক্তার বরিশাল নগরীর সাগরদী চান্দু মার্কেট এলাকার বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের সহপাঠী ফাহিম জানান, “স্টেডিয়ামে ক্রিকেট চর্চা শেষে আমরা দুজন বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে সেনাবাহিনীর একটি দ্রুতগামী গাড়ি ওহিকে চাপা দেয়। আমি চিৎকার করে সাহায্য চাইলে গাড়ি থেকে একজন সেনা সদস্য নেমে দেখেন। কিন্তু এরপর পুনরায় ওহির গলায় গাড়ি চালিয়ে দেন।”
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী পারভেজ বলেন, “গাড়িটি কোনো হর্ন না দিয়ে পেছন থেকে এসে চাপা দেয়। শুধু একবার নয়, দু’বার গাড়ির চাকা ওহির গলায় উঠানো হয়। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা থেকে নিহতের সহপাঠীসহ ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী আমতলা মোড়ে জড়ো হয়। দুপুরে তারা বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করলে কুয়াকাটা, ঝালকাঠি, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ বিভিন্ন রুটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানান, “গুরুতর আহত অবস্থায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা ওহিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সার্জারি ওয়ার্ডে পাঠানোর আগেই ওহি মারা যায়।”
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, “সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।” এই ঘটনায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ দোষীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।