
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে উত্তোলনের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী কৃষক বাদশা মিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে বাদশা মিয়া জানান, চরবালিয়াতলী মৌজার এস.এ ৫৮ নম্বর খতিয়ানের জমি নিয়ে জালিয়াতি করা হয়েছে। হারুন অর রশিদ নামের একজন জমি বিক্রি করার পরও নিজেকে মালিক সাজিয়ে ভুয়া দলিল তৈরি করেন। এ জমি থেকে তার ওয়ারিশ এবং পরবর্তীতে কয়েকজন ব্যক্তি জমি বিক্রি করে বারবার মালিকানা পরিবর্তন দেখিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, জমি নিয়ে মামলা করে ২০২৩ সালে আদালতের রায় পান। পরে ভূমি অফিসে মিস কেস দায়ের করা হলে ৩৮৫ ও ৩৮৯ নম্বর খতিয়ান দুটি বাতিল করা হয়। তবুও কয়েকজন ব্যক্তি ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের টাকা তুলতে চেষ্টা করছেন।
বাদশা মিয়া অভিযোগ করেন, পটুয়াখালীর এল.এ শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান ও নুরুজামান আসাদ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এ জালিয়াতি করছেন। তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ জানান, বাতিল হওয়া খতিয়ানের ভিত্তিতে যেন কোনোভাবেই ক্ষতিপূরণের টাকা উত্তোলন না করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বাদশা মিয়া সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রতিকার দাবি করেন।