শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
গাজীপুরের শ্রীপুরে তালাবদ্ধ ঘর থেকে গৃহবধূ আজিদা (৩৮) লাশ উদ্বার করলো শ্রীপুর থানা পুলিশ। তবে স্বামীকে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে স্বামীই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়েছেন।
রবিবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের বাবুল খানের বাড়ী থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।তবে অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
আজিদা বেগম (৩৮) নেত্রকোনা জেলার কমলাকান্দা থানার হাইলাটি গ্রামের মৃত রুমাল হোসেনের মেয়ে। সে স্হানীয় জৈনা বাজারে পাবনা হোটেলে কাজ করতো।
বাড়ির মালিক বাবুল খান বলেন, গত নয় মাস আগে আমার বাড়ির একটি টিনশেড রুম ভাড়া আজিদা। গত ৩/৪মাস ধরে তার স্বামী এখানে থাকতে দেখছি। আজিদা নিয়মিত থাকলেও স্বামী মাঝেমধ্যে বাসায় থাকতেন। স্ত্রীর নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও স্বামীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমি তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞেস করি তিনি কি কাজ করেন? কোথায় কাজ করেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানাতেন সে মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় কাজ করতেন। গত শুক্রবার থেকে ঘর তালাবদ্ধ। আজ সকাল থেকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে ঘরের তালা ভেঙে গলাকাটা মরদেহ দেখতে পাই। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ওই নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহের পাশে পড়েছিল রক্তাক্ত ধারালো বটি দা।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল হক মাতবর বলেন, সকালে বাড়ির মালিক তাঁর বাড়িতে এক নারীর গলাকাটা মরদেহ পরে আছে এমন খবর দেওয়ার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশের সাথে কথা বলি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকবর আলী খান বলেন, খবর পেয়ে ভাড়া বাসা থেকে গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত শুক্রবার কোনো এক সময় ধারালো বটি দা দিয়ে অভিযুক্ত স্বামী তাঁর স্ত্রীর গলা কেটে ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। তবে বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় দিতে পারেনি। অভিযুক্ত স্বামীর নাম পরিচয় শনাক্ত করতে কাজ করছে পুলিশ। তিনি আরও জানান, ধারণা করা হচ্ছে ধস্তাধস্তির কারণে তার এক হাতের রগ কেটে ফেলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা হবে।