
হাতীবান্ধা সংবাদদাতা:
চার বছর অনুপস্থিত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারীকে বরখাস্ত করায় প্রধান শিক্ষককে হয়রানি ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন বিদ্যালয়ের সাবেক অফিস সহকারী নারায়ন চন্দ্রের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলেছেন।
জানা যায়, আমঝোল উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী পদে নারায়ন চন্দ্রকে ২০০৫ সালে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিয়োগ পাওয়ার পর বিদ্যালয়ে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ার কারণে তিনি প্রতিষ্ঠানে যাওয়া বাদ দেন। দীর্ঘদিন তিনি প্রতিষ্ঠানে না যাওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক অফিস সহকারি নারায়ন চন্দ্রকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। নারায়ণ চন্দ্র কারণ দর্শানোর নোটিশের কোন উত্তর না দেওয়ায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্তের পর জবাব না দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ার কারণে এমনকি প্রতিষ্ঠানেও যোগাযোগ না রাখায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান পুনরায় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক নারায়ণ চন্দ্রকে ২০১৫ সালে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করা হয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে তাকে জানিয়ে দেওয়া হয় ।
এই বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা জানান, তারা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করার পর কিছু দিন নারায়ন চন্দ্রকে দায়িত্ব পালন করতে দেখে। তারপর ২০১১ সালের পর থেকে আর আসে নাই।
প্রধান শিক্ষক আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে নারায়ণ চন্দ্র বিভিন্নভাবে প্রধান শিক্ষককে হুমকি প্রদান করে আসছে। জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট সাজানো অভিযোগ, স্যোশাল মিডিয়ায় আমার ও প্রতিষ্ঠানের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে। আমরা বিধিগতভাবে নারায়ন চন্দ্রকে বরখাস্ত করেছি। কিন্তু তিনি আমাকে ব্যক্তিগত শত্রু ভেবে সামাজিক গণমাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেছে।
অভিযোগের বিষয়ে বিষয়ে নারায়ন চন্দ্র জানান, তিনি ওই প্রতিষ্ঠানে ২০০৫ সালে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি অসুস্থ থাকার কারণে প্রতিষ্ঠানে যেতে পারে নাই। বিষয়টি নিয়ে নারায়ণ চন্দ্র জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দিয়েছে।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আহমদ আহসান ও জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আব্দুল বারী সরজমিনে তদন্ত করেছেন বলে জানা গেছে। তদন্তকালে তারা নারায়ণ চন্দ্র প্রতিষ্ঠানের সাথে কোন যোগাযোগ কিংবা কোনো কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দেওয়ার বিষয়টির সত্যতা পেয়েছেন।