রাজধানীর রমনা ও শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ মোট ১৬৩ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিএনপি নেতাসহ অন্য আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল।
রমনা থানার মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশে পল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশে দেড় লাখের বেশি নেতাকর্মী সমবেত হয়। সেসময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সহিদুল ওসমান বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৫৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ তাদের সবাইকে অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
এই মামলায় অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আহমেদ আজম খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী ও অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যদিকে শাহবাগ থানার মামলার সূত্রে জানা যায়, একই দিনে (২৮ অক্টোবর) বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পল্টন থানার সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই সালাহ উদ্দিন কাদেন বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন, যেখানে মির্জা ফখরুলসহ ১০৪ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে এই মামলার সকল আসামিকেও অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ।
অব্যাহতি পাওয়া শীর্ষ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন—মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, রুহুল কবির রিজভী, হাবীবুন নবী খান সোহেল, আহমেদ আজম খান, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, খন্দকার এনামুল হক এনাম ও আমিনুল হক।
দুই থানার মামলাতেই পুলিশের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তদন্তে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলেনি। আদালত প্রতিবেদন গ্রহণের মাধ্যমে সকলকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।