
শেরপুর প্রতিনিধি:
জেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত। দলের মধ্যে চলছে পদ থেকে অব্যাহতি সংবাদ সম্মেলন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন। নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। শেরপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে সমর্থন দেওয়া হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. চন্দন কুমার পালকে।
অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের পদ হারানো সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান জেলা পরিষদের প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশাসক হুমায়ুন কবীর রুমান জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রাজাকার পুত্র বলে আক্ষায়িত করেন। দপ্তর সম্পাদক মামুন রাজাকার পুত্র নয় দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানায়, শহীদ পরিবারের সদস্য হয়েও আমাকে জেলা আওয়ামী লীগের বিতর্কিত সাংগঠনিক সম্পাদক ও বার বার দলীয় শৃংখলা ভঙ্গকারী সদ্য অব্যাহতি প্রাপ্ত হুমায়ুন কবির রুমান উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে রাজাকার সন্তান বলে কটুক্তি করেছেন। তাতে আমার সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তিনি এসময় হুমায়ুন কবির রুমানের কাছে তাকে রাজাকার পুত্র বলার কী প্রমাণ আছে তা প্রকাশ করার দাবী জানায় এবং রাজাকার পুত্রের প্রমাণ না দিতে পারলে মামলা করবেন মামুন।
উল্লেখ্য জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক হুমায়ুন কবির রুমানকে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় তাকে ২৫ সেপ্টেম্বর দল থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। এরই প্রতিবাদে তিনি ২৮ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে শহরের খরমপুরস্থ তার নির্বাচনী অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে দপ্তর সম্পাদক মামুনকে রাজাকার পুত্র বলে সম্মোদন করেন।