গাজীপুর সংবাদদাতা:
ঈদের দিনের আনন্দ উপভোগ করার বদলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মোঃ আল-আমিন (১৯)। শনিবার (৭ জুন) সকালে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার মধ্যভোগড়া এলাকায় সাবান-শ্যাম্পু কিনতে গিয়ে নির্মম মারধরের শিকার হন তিনি। হামলাকারীদের আঘাতে তার মাথায় গুরুতর জখম হয় এবং দিতে হয় সাতটি সেলাই।
আহত আল-আমিন বর্তমানে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি পেশায় চাকুরিজীবী এবং মধ্যভোগড়া এলাকার মোঃ বিল্লাল হোসেনের ছেলে।
অভিযুক্ত মুদি দোকানি রফিক স্থানীয় ইসলামী আন্দোলনের সদস্য বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের সকালে স্থানীয় মুদি দোকানি রফিকের দোকানে সাবান ও শ্যাম্পু কিনতে যান আল-আমিন। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে পূর্বের বিরোধের জেরে রফিক ও তার তিন ছেলে জহিরুল, আরিফ ও আরিফুল মিলে আল-আমিনের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করা হয়।
ঘটনার পর আল-আমিনের মামাতো ভাই ফারুক বাসন থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই সজীব দেবনাথ অভিযুক্ত রফিককে আটক করলেও কিছুক্ষণ পরেই ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআই সজীব দেবনাথ বলেন, “রফিক ইসলামী আন্দোলনের সদস্য। ঘটনার সময় সংগঠনের অনেকে থানায় আসায় পরিস্থিতি বিবেচনায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” তিনি দাবি করেন, মূল হামলাকারী রফিকের ছেলেরা, রফিক নিজে জড়িত নন।
তবে বাদীপক্ষের অভিযোগ, এসআই সজীব দেবনাথ তাদের মুঠোফোনে মিমাংসার জন্য চাপপ্রয়োগ করেন। আহত আল-আমিনের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় তারা তাৎক্ষণিকভাবে থানায় উপস্থিত হতে না পারায় এসআই সজীব তাদের গালিগালাজ করেন এবং দ্রুত থানায় যেতে বলেন।
এ বিষয়ে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহিন খান বলেন, “ঘটনাটি তদন্তাধীন, এবং এতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”