
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) সংবাদদাতা:
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে দুই সন্তানের জননী শিউলী বেগম (২২) নামক এক গৃহবধু। সে উপজেলার দক্ষিন হিরন গ্রামের এমরান শেখের স্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঘটনার রাতে প্রতিবেশি শহিদুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম কালা (১৮) কে ঐ গৃবধুর ঘরে দেখতে পেয়ে হাতে নাতে আটক করে রশি দিয়ে বেধে রাখে এলাকার আবুল বাশার (আবু সামা), গ্রাম পুলিশ আজিজুল শেখ, ইউপি সদস্য ইয়ার আলী শেখ, সাবেক ইউপি সদস্য আঃ সালাম শেখ প্রমুখ। সকালে ধৃত যুবক কৌশলে পালিয়ে যায়। স্ত্রীর কেলেংকারীর খবর পেয়ে স্বামী এমরান শেখ কর্মস্থল থেকে সকালে বাড়ীতে ফিরে উল্লেখিত স্বজনদের জোগসাজোশে স্ত্রীর হাত-পা বেধে মারপিট করে মাথার চুল কেটে দেয়। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে এলাকায়।
ভুক্তভোগী গৃহবধু শিউলী বেগম বলেন, শরিফুল গোপনে আমার তুলে ব্লাকমেইল করে আমাকে কু-প্রস্তাব দেয়, রাজি না হওয়ায় ওই রাতে একা পেয়ে জোরপূর্বক আমার ঘরে ঢোকে। আমার জা আসমা বেগম, ননদ মোরশেদা বেগম সহ উল্লেখিত লোকজন আমার স্বামীকে কুপরামর্শ দিয়ে আমার চুল কাটিয়েছে। এতে সমাজে আমি ও আমার পরিবারকে হেয় করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই।
এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শরিফুল ইসলামের বাড়ীতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এমরান শেখের বাড়ীতে গিয়ে তাকে না পেলেও তার মা জানান, বিয়ের পর থেকে ছেলের বৌ এর কেলেংকারী একাধিকবার ধরা পড়ে।
এ ব্যাপারে হিরন ইউপি চেয়ারম্যান মাজাহারুল আলম পান্না বলেন, ছেলে-মেয়ে ধরা পড়ার বিষয়টি চৌকিদার আজিজুল ও মেম্বর ইয়ার আলী রাতেই আমাকে জানিয়েছিল, মারপিট ও চুলকাটার বিষয়টা আমার জানা নেই।
এ বিষয়ে কোটালীপাড়া থানা অফিসার ইনচার্জ জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চুল কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।