
গত মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদল নেতা রিপন হোসনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা (দক্ষিণ) পুলিশ। মঙ্গলবার ঢাকার হাজারীবাগ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মো. রিপন হোসেন (২৭) গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন বড়ইছুটি এলাকার মোঃ সুরুজ আল মামুনের ছেলে। সে কালিয়াকৈর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এবং উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদপ্রার্থী বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ মাহবুব আলম বিপিএম, পিপিএম(বার)।
বুধবার সকালে জিএমপি'র পুলিশ কার্যালয়ে 'গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি ও গাড়িতে অগ্নি সংযোগ ও ভাংচুরের নেতৃত্বদানকারী আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে' আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, ক্ষতিগ্রস্ত গার্মেন্টস কর্মকর্তাদের বর্ণনা, বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা, সিসি টিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের নেতৃত্বদানকারী ছাত্রদল নেতা রিপন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। ছাত্রদল নেতা রিপনের নেতৃত্বে কালিয়াকৈরের সফিপুর এলাকার লিডা গার্মেন্টস ও ফর্টিস গার্মেন্টস এর ভিতরে প্রবেশ করে দুষ্কৃতিকারীরা লাঠি-সোঁটা দিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর ও দাহ্য পদার্থ দিয়ে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও গত ৩০ অক্টোবর মহানগরের কোনাবাড়ী এলাকার এবিএম ফ্যাশন্স লিঃ এ ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় কোনাবাড়ি থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।
গ্রেফতারের পর প্রাথমি জিজ্ঞাসাবাদে আসামী রিপন জানায়, সে এবং তার দলীয় সহযোগীরা রাজনৈতিক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে দলীয় আন্দোলনকে প্রভাবিত করার লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে শ্রমিকদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে কালিয়াকৈরের লিডা ফ্যাশন ও ফর্টিস ফ্যাশন এবং কোনাবাড়ীর এবিএম ফ্যাশন্স লিঃ এ অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর চালায়।
পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম জানান, গার্মেন্টস কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির দাবীকে পুঁজি করে দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য দুষ্কৃতিকারীরা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। গ্রেফতারকৃত রিপনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।