
গোপালগঞ্জে বিএনপির গাড়িবহরে হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নেতা নিহত এবং অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সময় টিভির চিত্র সাংবাদিক এইচ এম মানিকও রয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এ হামলা চালিয়েছে।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিএনপির বহরের ৬টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। নিহতরা হলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আম্পায়ার শওকত আলী দিদার এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা লিটন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার সময় স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানাতে ঘোনাপাড়া এলাকায় পথসভার আয়োজন করেছিলেন। তবে, ঘোনাপাড়ায় পৌঁছানোর পরপরই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়।
এই হামলায় শওকত আলী দিদারকে বেধড়ক পিটিয়ে ফেলে রাখা হয় এবং হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এছাড়াও আহত একজনকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যান।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. আনিচুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, "দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শওকত আলী দিদার নিহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।"
এদিকে, এই হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।