
গাইবান্ধায় পৈতৃক জমি নিয়ে ভাইয়ে ভাইয়ে দ্বন্দে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছে প্রতিবেশীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধা সদর উপজেলার টেঙ্গরজানী এলাকার মৃত আফছার আলী সরকারের ছেলে ছলিম উদ্দিন সরকার সেলিম (৪৪) ও ময়নুল মিয়া (৫০),মফিজুল হক, জয়নাল হক। সেলিমের সাথে তার তিন ভায়ের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ লেগেই আছে। সদর থানায় বার বার সালিশ মিমাংসা হলেও আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যায়।
এ বিষয়ে ছলিম উদ্দীন সরকার সেলিম অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই ময়নুল মিয়া, মফিজুল হক, জয়নাল হক প্রভাবশালী হওয়ায় আমার পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে নির্মাণ কাজ করতে বাধা দেয়। বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার বাড়িতে হামলা করে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে মারধর করে। এমনকি আমাকে উঠিয়ে নিয়ে আটকেও রাখে। থানায় বার বার সালিশ মিমাংসায় জমির কাগজ পত্র দেখে আমাকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বললে ক্ষমতার দাপটে তা অমাণ্য করে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হয়রানীও করেছে। বর্তমানে আমার জমি জবর দখল করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যেকোন সময় সে বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে আমার পরিবারের উপর হামলা করতে পারে। তদন্তপূর্বক আইনগত সহযোগীতা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
তাদের জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সদর থানার এসআই শফি ও এ এসআই আল-আমিন জমির কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বার বার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে এ এসআই আল আমিন বলেন- বিষয়টি নিয়ে বার বার বসে সমাধান করার চেষ্টা করলেও সমাধান হয়নি। তবে এখন সে আদালতের স্বরণাপন্ন হতে পারে ।
এ ব্যাপারে ময়নুল মিয়া বলেন- জমি তো হারিয়ে যাচ্ছে না, সরকারি আমিন নিয়ে এসে মাপযোগ করে যদি সেলিম জমি পায় আমি তাকে দিব। তবে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদার রহমান মুঠোফোনে জানান- এরকম অভিযোগ তো অনেক আসে। এ বিষয়ে ফোনে স্পষ্টভাবে বলতে পারছি না। অভিযোগকারী সরাসরি আসলে অবশ্যই আইনগত সহায়তা দেওয়া হবে।