
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা:
ঠাকুরগাঁওয়ে পীরগঞ্জে এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গৃহবধূকে মারপিট ও চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।
গতকাল বুধবার (১৬ জুন) বিকেলবেলা গৃহবধূ শহর বানু (৪৪) এমন অভিযোগ করেন উপজেলার বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমু সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তোভোগীর স্বামী হাছান আলী।
নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ শহর বানু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, গত রোববার (১২জুন) রাত ১০টায় স্থানীয় ফারুক ও রুবলে সহ বেশ কয়েকজন আমাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এসময় তারা আমাকে বলে চেয়ারম্যান আমাকে ডাকছে। আমার নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ রয়েছে। পরে তারা আমাকে একজনের বাসায় নিয়ে যায় এবং সেখানে হিমু চেয়ারম্যান সহ তার কয়েকজন ছেলে আমাকে মারধর করে। পরে চেয়ারম্যান হিমু নিজে আমার মাথার চুল কেটে দেয়।
এছাড়া চেয়ারম্যান আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে থাকে। এবং এই ঘটনার কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়। এরপর থেকে ৩দিন তারা আমাকে ও আমার স্বামীকে বাসায় আটকিয়ে রাখেন।
গৃহবধূর স্বামী হাছান আলী বলেন, কোন অপরাধ ছাড়াই আমার স্ত্রীকে চেয়ারম্যান সহ তার ছেলেরা মারপিট করে মাথার চুল কেটে দিয়েছে। আমি বাসায় ছিলাম না এই সুযোগে তারা আমার স্ত্রীকে রাতে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। কি কারণে তারা আমার স্ত্রীকে মারপিট করলো তা আমরা জানি না। পরে আমরা বাসায় আসলে তারা আমাদের বাসা থেকে বের হতে দেয়না। বিভিন্ন ধরনের ভয় দেখায়।
আমার স্ত্রী বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান তেলিনা সরকার হিমুর বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পীরগঞ্জ থানা পরিদর্শক (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযোগের সত্যতা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া সেই চেয়ারম্যানের বাসায় আমাদের পুলিশ গেলে তাকে পাওয়া যায়নি । বর্তমানে চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।