
চবি প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতারকে ২০তম উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি মো. শাহাবুদ্দিনের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগ ঘোষণা করা হয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩-এর ১২(২) ধারায় ৫টি শর্ত সাপেক্ষে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগের ৫টি শর্ত হলো- উপাচার্যের পদে এই নিয়োগ কার্যকর হবে যোগদানের তারিখ থেকে; উপাচার্য অবসর-পরবর্তী সমপরিমাণ বেতন-ভাতাদি পাবেন; তিনি পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাও ভোগ করবেন; উপাচার্য হিসেবে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করবেন; মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার ১৯৮২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষকতা করছেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিএ (অনার্স) এবং এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু থেকে দ্বিতীয় এমএ এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সিডনি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।
ড. আখতার রাজনীতি, সমাজতত্ত্ব এবং লোকপ্রশাসন বিষয়ে গবেষণাধর্মী কাজের জন্য পরিচিত। তাঁর লেখা "ইলেকটোরাল করাপশন ইন বাংলাদেশ" (২০০১) বইটি আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে। এছাড়া তিনি "রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও সামাজীকীকরণ: প্রসঙ্গ বাংলাদেশ" (১৯৯১), "নির্বাচন, দুর্নীতি ও রাজনীতি" (২০০৩), এবং "চারদলীয় জোট সরকারের দেশ শাসন" (২০০৩) সহ আরও অনেক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন। ড. আখতারের গবেষণা প্রবন্ধ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপিত এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ থেকে "দুর্নীতি রোধে সংবাদপত্রের ভূমিকা" শীর্ষক রিসার্চ মনোগ্রাফ প্রকাশিত হয়েছে। ড. আখতার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সামাজিক ও গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর সদস্য এবং রিসার্চ সোসাইটি অব বাংলাদেশ-এর যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।