Date: October 25, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / বিনোদন / নৃত্যশিল্পী নামিয়া যেভাবে হয়ে উঠলেন জেমসের জীবনসঙ্গী - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

নৃত্যশিল্পী নামিয়া যেভাবে হয়ে উঠলেন জেমসের জীবনসঙ্গী

October 23, 2025 10:15:22 PM   বিনোদন ডেস্ক
নৃত্যশিল্পী নামিয়া যেভাবে হয়ে উঠলেন জেমসের জীবনসঙ্গী

ব্যান্ড তারকা নগর বাউল মাহফুজ আনাম জেমসের জীবন যেন এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করেছে। সম্প্রতি তিনি প্রকাশ করেছেন তার তৃতীয় বিয়ের খবর, পাশাপাশি ৬১ বছর বয়সে প্রথমবারের মতো আবারও বাবা হওয়ার আনন্দও ভাগ করেছেন ভক্তদের সঙ্গে। এই দুই সুখবর এখন দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়ই শুরু হয় এই গল্পের সূচনা। লস অ্যাঞ্জেলেসে এক কনসার্টে জেমসের সঙ্গে পরিচয় হয় নৃত্যশিল্পী নামিয়া আমিনের। প্রথম দেখা থেকেই তৈরি হয় একটি অদ্ভুত বন্ধন, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে। ট্যুর শেষে জেমস দেশে ফিরে এলেও তাদের যোগাযোগ থেমে থাকেনি। ভালোবাসার টানে নামিয়াও বাংলাদেশে আসেন, এবং ২০২৪ সালের ১২ জুন তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের পর থেকেই দুজন একসঙ্গে বসবাস করছেন ঢাকার বনানীতে জেমসের নিজ বাসায়।

এক বছরের মাথায় এই দাম্পত্য জীবনে আসে আরও এক বড় সুখবর। ২০২৫ সালের ৮ জুন, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হান্টিংটন হাসপাতালে নামিয়া জন্ম দেন এক পুত্রসন্তানের, যার নাম রাখা হয়েছে জিবরান আনাম। এই আনন্দঘন সংবাদে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন জেমসের অসংখ্য ভক্ত, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা। অনেকেই মনে করছেন, এই নতুন অধ্যায় তার জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং তার সৃষ্টিশীলতা আরও সমৃদ্ধ হবে।

নামিয়া আমিন মূলত একজন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, যিনি যুক্তরাষ্ট্রে বেড়ে উঠেছেন ও সেখানেই শিল্পজগতে নিজের অবস্থান গড়ে তুলেছেন। তার বাবা-মা, নুরুল আমিন ও নাহিদ আমিন, দীর্ঘদিন ধরে আমেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বিদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা এই তরুণী আজ বাংলাদেশের কিংবদন্তি এক সংগীতশিল্পীর জীবনসঙ্গী—যা নিজেই এক অনন্য গল্প।

এটি জেমসের তৃতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি চিত্রনায়িকা রথি ও বেনজীর সাজ্জাদ-এর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। রথির ঘরে জেমসের দুই সন্তান—পুত্র দানিশ ও কন্যা জান্নাত—যারা এখন প্রাপ্তবয়স্ক এবং নিজ নিজ পেশায় প্রতিষ্ঠিত। অন্যদিকে, দ্বিতীয় স্ত্রী বেনজীর সাজ্জাদ বর্তমানে তাদের কন্যা জাহানকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। ২০১৪ সালে বেনজীরের বিদেশে স্থায়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত এবং জেমসের সংগীত ও মাতৃভূমির প্রতি অগাধ টানই তাদের বিচ্ছেদের কারণ হয়ে ওঠে। পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে তারা তখন পৃথক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

সবকিছু মিলিয়ে এই বয়সে পুত্রসন্তান লাভ জেমসের জীবনে যেন নতুন সূর্যোদয়ের মতো। তার ঘনিষ্ঠজনরা বলছেন, এই ঘটনা তাকে নতুন করে অনুপ্রাণিত করবে—জীবন ও শিল্প দুটোতেই।

নিজের এই নতুন জীবন নিয়ে জেমস জানিয়েছেন গভীর কৃতজ্ঞতা—

 “আল্লাহর অশেষ কৃপায় ভালো আছি। যতদিন বাঁচি, যেন গান গেয়ে যেতে পারি। দোয়া চাই সবার কাছে, সবাই আমাকে প্রার্থনায় রাখবেন।”

 

বাংলা সংগীতের এই মহারথীর জীবনে নতুন এই অধ্যায় নিঃসন্দেহে তার জন্য এনেছে তৃপ্তি, শান্তি ও নবউদ্দীপনা। ভক্তরা আশা করছেন, জেমসের জীবনের এই নতুন রঙ তার গানে প্রতিফলিত হবে, এবং আগামী দিনে বাংলা সংগীত পাবে আরও হৃদয়স্পর্শী সৃষ্টির উপহার।