
লালমনিরহাট সংবাদদাতা:
লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রামের গাঠিয়ার ভিটায় জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুপক্ষের সংঘর্ষে আমিনুর রহমান (৪১) নামে এক জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার নিহতের ভাই বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত মাসের (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার গাঠিয়ার ভিটায় গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত আমিনুর রহমান (৪৫) ওই গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, আমিনুর রহমান ও মো. রমজান আলী(৫০)দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসত বাড়ির যাতায়াতের রাস্তা নিয়ে বিরোধ চলছিল। বেশ কয়েকবার মাপযোগের পর যাতায়াতের রাস্তা টি দখলে পেয়ে রাস্তায় ধারে ইউকালেক্টরের গাছ লাগায় আমিনুর রহমানে ভাই। কিন্তু কে বা কারা লাগানো গাছ গুলো উপড়ে দিলে ১ সেপ্টেম্বর সকালে আমিনুরের ভাতিজা গাছ গুলো আবার লাগাতে গেলে পূর্বের পরিকল্পিত ভাবে বিবাদি রমজান আলী (৫০), হাসানুল (৩৩), বুলবুল (৩০), আজিত(৩৬), আঃমজিদ (৩৮), মোহাম্মদ আলী(৫২), নুরনবী(২৮), হাসিনা বেগম(৪৫), রহিমা(৩২), রিনি(১৯)সহ অজ্ঞাত বেশ কয়েকজন লোকজন নিয়ে কোদাল, রট, ছুরি,দা এবং লাঠি শোটা নিয়ে আমিনুরে ভাতিজাকে হত্যার উদ্দেশ্য আসে। এমতঅবস্থায় আমিনুর রহমানসহ তার ভাইয়েরা বাধা দিতে আসলে রমজান আলীর হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আমিনুর রহমানে মাথায় একাধিক কোপ মারে শুধু তাই নয় বাকি বিবাদিদের হাতে থাকা রড, ছুরি ও লাঠির আঘাতে আমিনুর রহমানের পরিবারের ভাই-ভাতিজাসহ প্রায় ৮/১০ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর পর রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসা ধীন অবস্থায় আমিনুর রহমান (৪৫) গত ৩ অক্টোবর দুপুরে ইন্তেকাল করেন।
নিহতের ছেলে বলেন, আনেক দিন আগে জমি কিনে আমার চাচা ও বর আব্বা ওই জমিতে রাস্তা নির্মান করে চলাচল করে আসছেন। আমাদের দখলে থাকা জমির উপর আদালত সম্প্রতি স্থিতিবস্থা জারি করে। সেখানে গাছ লাগাতে গেলে রমজান আলীর নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন লাঠিয়াল তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় হামলাকারীরা আমার বাবার মাথায় কোদাল দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত মেডিক্যাল অফিসার ওনাকে রংপুরে রেফাড করেন।
পাটগ্রাম থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে।