
পাংশা সংবাদদাতা, রাজবাড়ী:
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি ও চিকিৎসা অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচেতন নাগরীক সমাজের আয়োজনে বুধবার সকাল (১০.৩০ মিনিটে) পাংশা উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্প্রতি উপজেলার দুটি ইউনিয়নে এক শিক্ষার্থী সহ দুজন সাপে কাটা রোগীর মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনদের দাবি সাপে কামড়ের এন্টিভেনম নেই বলে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার মাধ্যমে পাংশা হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের চিকিৎসা অবহেলায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়াও পাংশা সরকারি হাসপাতালে দায়িত্বরতদের রুগী বা রুগীর স্বজনদের সাথে বিরূপ আচরণ করা, ঠিকমত পূর্নাঙ্গ ঔষধ না দেওয়া, দায়িত্বপ্রাপ্ত ডাক্তারগনের পূর্ণ সময় ডিউটি না করা, নোংড়া পরিবেশ তৈরি করে রাখা, দায়িত্বরত নার্সদের চিকিৎসা সেবায় উদাসীনতা এবং বাজে আচরণ করা সহ রয়েছে নানা অভিযোগ রয়েছে পাংশা উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিরুদ্ধে।
শরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে পাংশা সরকারি হাসপাতালের অনিয়ম অব্যবস্থাপনা অবহেলা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন, নিহত শিক্ষার্থী সাফার মা সুমাইয়া সিমু, পাংশা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম রাসেল কবির, বাংলা টেলিভিশনের পাংশা ও কালুখালী প্রতিনিধি রতন মাহমুদ, যায় যায় দিন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মাসুদ রেজা শিশির ও ব্লাড ডোনার সহ বিভিন্ন জন।
মানববন্ধনে বক্তাগন পাংশা সরকারি হাসপাতালের সকল অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট চিকিৎসা সেবার সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। পাংশা সরকারি হাসপাতালের সকল ভোগান্তিরর প্রতিবাদ জানাতে এ সময় ছাত্র শিক্ষক কৃষক ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ এ মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে একাত্বতা পোষন করেন।
এ ব্যপারে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শারমিন আহমেদ তিথী বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে সাপের কামড়ে আক্রান্ত কোন রোগীকে হাসপাতাল থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে এরকম কথা আপনাদের মাধ্যমে জেনেছি। এরকম কিছু হলে তো আমার ডাক্তাররা বলতো। তাছাড়া সাপের কামড়ে আক্রান্ত কোন রোগী আসলে চিকিৎসা না দেওয়ার সুযোগ নেই। কারণ আমাদের পর্যাপ্ত এন্টিভেনম আছে। সব থেকে বড় কথা কোন রোগী আসলে হাসপাতালের রেজিস্টার খাতায় লেখা থাকতো।
অপর প্রশ্নে স্কুল ছাত্রী সাফা মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু দিন আগে হাসপাতালে এসে এন্টিভেনম না পেয়ে একজন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরকম একটি অভিযোগে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে। এদিকে সাফা মৃত্যুর ২০ দিন পার হলেও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।