
হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা:
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলনের’ পোস্টার ছেঁড়ার প্রতিবাদ করায় এক যুবদল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাবলু ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
ঘটনাটি ঘটে গত ১৮ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দোলাপাড়া এলাকায়। আহত যুবদল কর্মী সোহেল রানা এ ঘটনায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন—দোলাপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে বাবলু (২৮) ও সাবলু (২৩), বাবলুর বোন লুবা (২৫), লুৎফর রহমানের স্ত্রী আমেনা বেগম (৫০), মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে আশরাফুল (৩৫), নুরুজ্জামানের ছেলে নয়ন ইসলাম (২২) এবং পূর্ব ফকিরপাড়া গ্রামের লেবুর ছেলে সাবু ইসলাম (২৩)।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু'র ডাকে ‘তিস্তা বাঁচাও আন্দোলন’-এর পোস্টার সাঁটানো হচ্ছিল। এ সময় বাবলু ও তার লোকজন সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছিলেন বলে অভিযোগ। যুবদল কর্মী সোহেল রানা বিষয়টি দেখে বাধা দিলে, তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করেন এবং পকেটে থাকা একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেন।
পরে সোহেলের পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্তরা তাদের হুমকি দিয়ে বলেন, এলাকায় বিএনপির কোনো পোস্টার লাগানো যাবে না।
আহত অবস্থায় সোহেল রানাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
সোহেলের চাচা আবুল হোসেন বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের পতনের মুখে দাঁড়িয়ে একজন ফ্যাসিস্টের দোসর কিভাবে বিএনপির পোস্টার ছেঁড়ার সাহস পায়? আমার ভাতিজাকে নির্মমভাবে মারধর করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।”
তবে অভিযুক্ত বাবলুর বাবা লুৎফর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমার ছেলে পোস্টার ছেঁড়ার সঙ্গে জড়িত নয়।”
হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, “এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”