
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) মার্কেটিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ তাজওয়ারকে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে ‘মিডিয়ায় অপপ্রচার’ চালিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩০ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বরাবর এক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাহমিদ।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ২৮ মে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে মুক্তমঞ্চে আয়োজিত এক কনসার্টে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনার জেরে তাহমিদকে ছাত্রদলের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ‘ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ খবর প্রকাশ করা হয়। এর ফলে তিনি মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত।
তিনি অভিযোগে আরও লেখেন, “আমি কখনও কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না, এখনও নই। ওই দিন একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার প্রতিবাদে আমি একজন ব্যাচমেট ও জুনিয়রের পাশে দাঁড়াই। একটি ভিডিও ফুটেজে আমাকে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও, ঘটনাস্থলে উপস্থিত অন্যদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না।”
তাহমিদ তাজওয়ার বলেন, “নিউজ প্রকাশের আগ পর্যন্ত আমি জানতামই না যে আমার নাম কোনো ঘটনায় জড়িয়েছে। আমি মূলত সেদিন দেরি করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাই এবং পরিস্থিতি দেখে স্বাভাবিক প্রতিবাদ করি। আমি কাউকে আঘাত করিনি, রাজনৈতিক পরিচয়েও যুক্ত নই। আমি একজন সংস্কৃতিমনা ও অরাজনৈতিক শিক্ষার্থী।”
এ বিষয়ে দৈনিক সমকালের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আনিসুর রহমান বলেন, “ছাত্রদলের নেতাদের সঙ্গে থেকে সে সাংবাদিকদের মারার কথা বলেছে -এমনটা দেখা গেছে। সে কারণে তার নাম সংবাদের মধ্যে এসেছে।”
ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি চৌধুরী মাছাবিহ্ বলেন, “ছাত্রদলের নেতাদের প্রশ্ন করার সময় সে তাদের পক্ষ নিয়ে আমাকে পেছন থেকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। আদর্শিক অবস্থান স্পষ্ট হলে কেউ এমন আচরণ করে না। এজন্যই তার নাম সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হাকিম বলেন, “আমি তার অভিযোগ মেইলে পেয়েছি। তবে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এখনই কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। ক্যাম্পাস খুললে বিষয়টি নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে।”
উল্লেখ্য, ২৮ মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আয়োজিত কনসার্টে ‘স্লেজিং’কে কেন্দ্র করে সাংবাদিকতা ও মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ সংগ্রহের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দুই সাংবাদিকের ওপর ছাত্রদলকর্মীদের হামলার অভিযোগ উঠে। যদিও ছাত্রদলের দাবি, তারা সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেননি এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাই করেছিলেন।