
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে আনতে শপথ নিয়েছে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন। বুধবার দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নেতা-কর্মীরা শপথ বাক্য পাঠ করেন।
শপথ বাক্য পাঠ করান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান। নেতারা সমবেত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি শপথ করছি যে, যত দিন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটিতে ফিরিয়ে না আনব তত দিন পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।
আরও শপথ করছি যে, তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া সকল প্রকার অন্যায়ের প্রতিশোধ নিব। আজ থেকে আমাদের আন্দোলন শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনা। আমি এই শপথ বাক্য বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ ছুঁয়ে করছি। আমাদের এই শপথ মহান রব্বুল আলামীন কবুল করুক। আমিন, জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।’
শপথ অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম শাহাব উদ্দিন আজম, টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
এর আগে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা গোপালগঞ্জ থেকে মিছিল সহকারে টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পরে সুরা ফাতেহা পাঠ করে নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু ও ৭৫ এর ১৫ আগস্টে বুলেটে নিহত রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান লিটন, দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাজিউদ্দিন খান, নজরুল ইসলাম, নাজমুল হাসান নাজিম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সিদ্দিক সিকদার, গোপালগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম কবির, সাধারণ সম্পাদক আলীমুজ্জামান বিটু, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল।
আরও উপস্থিত ছিলেন—টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক বি. এম তৌফিক, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আমীর হামজাসহ জেলা আওয়ামী লীগ, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, তাঁতি লীগ, মৎস্যজীবী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীরা।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম বলেন, ‘এই পরিস্থিতি আমাদের রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে দেশে ফিরিয়ে না আনা পর্যন্ত প্রতিবাদ প্রতিরোধ অব্যাহত রাখব। প্রত্যেককে গ্রেপ্তার এড়িয়ে চলতে হবে। তারপরও যদি কেউ গ্রেপ্তার হয়। আমিও যদি গ্রেপ্তার হই। আপনারা বসে থাকবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে শক্তি নিয়ে আপনারা এখন চলছেন, এর চেয়ে দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে রাজপথে নামবেন। কারণ গোপালগঞ্জের মানুষ মুজিব প্রেমী মানুষ, গোপালগঞ্জের মানুষ মুজিব পাগল মানুষ। তাই বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ইলিয়াস হক বলেন, ‘সোমবার আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পর থেকে আমরা রাজ পথে আছি। গোপালগঞ্জবাসীকে সাহস জোগাচ্ছি। এখন পর্যন্ত রাজপথে থাকতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আমাদের ওপর কোনো প্রকার চাপ নেই। পরে কি হবে জানি না।’