
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
অপহরণ ও চাঁদাবাজি অভিযোগ এনে কারখানার ম্যানেজারের দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার গাজীপুরের শ্রীপুরে মাওনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গাজীপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নং-১ এর বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন। এরআগে বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে একটি চাঁদাবজি ও অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।
মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকন (৫০) উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের সিংগারদিঘী গ্রামের মো. ইদ্রিস আলীর ছেলে। তিনি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। মিথ্যা এবং সাজানো মামলায় জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবী জানিয়ে আসছিল চেয়ারম্যানের পরিবার ও সমর্থকরা। একই সাথে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীর বিচার দাবীও করেন তারা।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান বলেন, মাওনা চকপাড়া এলাকায় ফরচুন গ্রুপের একটি কারখানার নির্মাণ কাজ বাধা দিয়ে চাঁদা দাবি ও কর্মচারীকে অপহরণের অভিযোগে মামলা করেন এক ভুক্তভোগী। ওই মামলায় প্রধান আসামি মাওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আলম খোকন। মামলায় আরও কয়েক জনের নামও রয়েছে। মামলার বাদী ওই কারখানার কেয়ারটেকার জহিরুল ইসলাম। ওই মামলায় বুধবার রাত ১১টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয় "।
উল্লেখ্য, গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া মেডিকেল মোড় এলাকায় ফরচুন ক্যাবলস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের উত্তর-পশ্চিম পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ আনেন প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা। গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই সীমানা প্রাচীর নির্মাণকালে জাহাঙ্গীর আলম খোকন, মো. বায়েজিদ ও তাজউদ্দিনসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০ থেকে ১২ জন সেখানে গিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেছেন মর্মে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। টাকা দিতে অপারগতা জানালে কারখানার ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলামকে মারধরের পর তুলে নেওয়া হয়েছে বলে রাতে জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খোকনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে, চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন বিক্ষোভ করে চেয়ারম্যান সমর্থকরা। রাত সাড়ে ১২টার পর থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শ্রীপুরের এসিল্যান্ড, শ্রীপুর থানা পুলিশ ও মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চেষ্টা চালিয়েও তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে পারেনি। পরে ৬ ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ৪টার দিকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধা বিবেচনা করে দুপুর ২টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত রেখে নেতাকর্মীরা মহাসড়ক ছেড়ে চলে যান।