Date: May 12, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / শরীয়তপুরে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভা - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে...

শরীয়তপুরে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভা

March 06, 2024 07:01:23 PM   উপজেলা প্রতিনিধি
শরীয়তপুরে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভা

শরীয়তপুরে “বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ: বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ” শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১০ টায় সদর উপজেলা মডেল মসজিদ সভাকক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় অনুষ্ঠানের সভাপতি ইফা উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ আবু তালহা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মর্চের ভাষণ ছিল বাঙালির মুক্তির সনদ। এ ভাষণ সারা দেশের মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করে এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দেশের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করে। বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ:বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সনদ"এটা হলো এজেন্ডা। মূল হচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যে কার্যক্রম গুলোআছে সেই সম্পর্কে আপনাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করা।

তিনি সবার উদ্যেশ্যে  বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণের শেষের দুই লাইন শুনিয়ে বলেন, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম! রক্ত যখন দিয়েছি,রক্ত আরও দিব! এদেশকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ! আমরাও বঙ্গবন্ধুর সাথে কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই, আমাদের আয়োজন মুক্তির আয়োজন। আমাদের আয়োজন হচ্ছে স্বাধীনতার আয়োজন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত। আপনারা প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানেন, এক শ্রেণির লোক ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা হোক, তা চায় নাই। এবং যারা আমলা ছিল, তৎকালীন সময়ে, তারা ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাতে প্রতিষ্ঠা না হয়,তার জন্য পঞ্চাশ পৃষ্ঠার একটা প্রতিবেদন বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন, সে সময়। আপনারা জানেন ১৯৭৫ সালের ২৮শে মার্চ একটা আইন প্রণয়ন হয়। সেই আইনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয়। তো বঙ্গবন্ধু পুরো রিপোর্ট পড়েছে। পড়ার পরে দেখলেন যে,ওনারা যে রিপোর্ট দিয়েছে। এই রিপোর্টে আমি যদি চলেও যাই, কেউ কোন দিন ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করতে পারবে না। তখন বঙ্গবন্ধু বললেন, এটাকে সংসদে উত্থাপন করা হোক। তখন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা বলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আইন প্রণয়ন করেন। যাতে করে এটা বাতিল হতে না পারে। যাই-হোক, এখন এই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে কিছু অনৈসলামিক কার্যক্রম ভেতরে-ভেতরে চলে। আমরা এই কার্যক্রম কখনো করবও না, প্রশ্রয়ও দিব না। এটা আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এবং আপনারা সকলে সর্বাত্মক সহোযোগিতা করবেন।

এ সময় তিনি ইফা'র ফিল্ড সুপারভাইজার, মাদ্রাসা শিক্ষক, মডেল মসজিদের কেয়ারটেকার ও কর্মচারীদের   উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্পের ফিল্ড সুপারভাইজার সদর উপজেলা মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ লুৎফর রহমান, গোসাইরহাট উপজেলা মোঃ আলাউদ্দিন, ভেদরগঞ্জের আল আমিন,নড়িয়া হেলাল উদ্দিন,  ডামুড্য উপজেলার ভুঁইয়া মোহাম্মদ মুরাদ প্রমুখ।