
নীলফামারীর সৈয়দপুরে গোলাহাট ২নং অবাঙ্গালি ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে সকলকে সর্বসান্ত করার হুমকির প্রতিবাদে শত শত ক্যাম্পবাসী ও গোলাহাট এলাকার বাসিন্দারা মিলে মানবন্ধন করেছে। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুর ২ টায় সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সামনে ওই প্রতিবাদী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে হুমকিদাতাদের গ্রেফতার ও তাঁদের উচ্ছেদের দাবী জানায় এলাকাবাসী।
জানা যায়, গোলাহাট ফিরোজ হোটেল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মোরশেদ, আকাশ, হৃদয়, সোহাগ, জোসনা, বালিয়াসহ তাঁদের পরিবারের অত্যাচরে অতিষ্ঠ গোলাহাট এলাকার বাসিন্দারা। গত কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁরা পুরো এলাকায় মারপিট, দোকান ভাঙ্গচুর, মহিলাদের বেদম মারপিট করে। এর প্রতিবাদ করলে পুরো ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় তাঁরা। এবং যে যে প্রতিবাদ করে তারই উপর চড়াও হয় তাঁদের পরিবার।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন গোলাহাট ২নং ক্যাম্পের সভাপতি হামিদা বেগম। ভুক্তভোগী জীবনের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহিলা দল নেত্রী রূপা, ভুক্তভোগি সোনিয়া, ইকবাল, জীবন, সাগর, সালমাসহ অন্যান্যরা।
বক্তারা বলেন, আজ পুরো গোলাহাট এলাকাবাসী ওই সন্ত্রাসী পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। যখন তখন তাঁরা দলবেধে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চড়াও হচ্ছে। ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। পুরো গোলাহাটে ওই পরিবারের লোকেরা ইয়াবা, হেরোইনসহ সব ধরনের মাদকের ব্যবসার প্রসার করেছে। প্রতিবাদ করলেই ৫০/৬০ জন মিলে চড়াও হয় এবং জীবননাশের হুমকি দেয় ওরা। আমরা এর তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও অবিলম্বে দোষিদের গ্রেফতার এবং গোলাহাট থেকে ওই সন্ত্রাসী পরিবারের উচ্ছেদ চাই।
তাঁরা আরও বলেন, কিছু হলেই ক্যাম্পে আগুনের হুমকি, অবাঙ্গালিদের দোষারোপ এটা আর মানা যায় না। আমরা দেশের নাগরিক। কেনো আমরা আতংকে থাকবো। আমরা প্রশাসনের কাছে অবিলম্বে ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানাচ্ছি। এবং যদি তাঁদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা ২২টি ক্যাম্প ও পুরো গোলাহাট এক হয়ে বড় আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।
মানববন্ধনের ২নং ক্যাম্প ও গোলাহাটের শত শত ভুক্তভোগিরা অংশ নেন। এবং মানববন্ধন শেষে ক্যাম্পে আগুন লাগানোর হুমকি দেওয়ায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, অভিযোগ পেয়েছি আমরা আইনত ব্যবস্থা নিবো। দোষিরা কেউ ছাড় পাবে না।