
কুমিল্লার লালমাইয়ে গৃহবধূকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগে পাষণ্ড স্বামীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, লাকসাম উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের নরপাটি যোগীপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে মুন্নি আক্তারের পাঁচ বছর আগে পারিবারিকভাবে লালমাই উপজেলার সোন্ডা গ্রামের মৃত আবুল বাশারের ছেলে আবদুর রহিমের সঙ্গে বিয়ে হয়। তাদের চার বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। গত ২৫ নভেম্বর রাতে স্বামী আবদুর রহিম গৃহবধূ মুন্নি আক্তারকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা এবং বেধড়ক মারধর করেন। এতে তার গর্ভে থাকা দেড় মাসের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। খবর পেয়ে গৃহবধূর বাবা তাকে স্বামীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লাকসামে নিয়ে আসেন। পরে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করান।
এদিকে শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠার পর মুন্নি আক্তার ১৭ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) স্বামী আবদুর রহিম, শাশুড়ি সালমা খাতুন, ননদ সীমা বেগম এবং দেবর রোমানকে অভিযুক্ত করে লালমাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা রেকর্ড করার পর পুলিশ ওইদিন রাতেই আবদুর রহিমকে গ্রেফতার করে। ১৮ ডিসেম্বর (বুধবার) তাকে কুমিল্লা জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মামলার বাদী মুন্নি আক্তার জানান, “আমার স্বামী, শাশুড়ি, ননদ ও দেবর পরিকল্পিতভাবে আমাকে মারধর করে। তারা আমার পেটে লাথি মেরে এবং জোরপূর্বক ওষুধ সেবন করিয়ে আমার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করেছে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে আমি মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়ি।”
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, “গৃহবধূর স্বামী আবদুর রহিম তার স্ত্রীর ওপর নির্মম নির্যাতন করেছে। গৃহবধূর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
গৃহবধূ মুন্নি আক্তার অভিযোগ করেন, অভিযুক্তরা তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। তাদের বিচার চেয়ে তিনি আইনের আশ্রয় নিয়েছেন।