Date: May 01, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / রংপুর / কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতে উঠল সব বয়সী মানুষ - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতে উঠল সব বয়সী মানুষ

December 24, 2024 07:51:36 PM   জেলা প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামে দিনব্যাপী গ্রামীণ খেলাধুলায় মেতে উঠল সব বয়সী মানুষ

কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ডাক্তারপাড়া গ্রামে শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে। এই আয়োজন দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সব বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে দিনটি পরিণত হয় এক আনন্দঘন উৎসবে।

সোমবার দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ ও শহীদ ডা. ছফর উদ্দীন স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে এই খেলাধুলার আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী চলা এই আয়োজনে ছিল চোখ বেঁধে হাঁস ধরা, তৈলাক্ত কলাগাছে ওঠা, পানিতে বালিশ যুদ্ধ, হাড়িভাঙ্গা, সাঁতার, বিস্কুট দৌড়, যেমন খুশি তেমন সাজোসহ নানা ধরণের বিনোদনমূলক খেলা।

খেলা দেখতে সকাল থেকেই আশেপাশের গ্রাম থেকে নানা বয়সী মানুষ ভিড় জমান। সারাদিনের পরিশ্রম ভুলে সবাই মেতে ওঠে আনন্দে। কিছুক্ষণের জন্য অনেকেই যেন ফিরে যান শৈশবের দিনগুলোতে। গত তিন বছর ধরে ডাক্তারপাড়া গ্রামে এই আয়োজন করছে সংগঠন দুটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ মো. মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজার রহমান খন্দকার, বেলগাছা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের প্রতিনিধি এম.এ সাঈদ মিয়া, বিএনপি নেতা খলিলুর রহমান এবং দুর্বার তারুণ্য বাংলাদেশ ও শহীদ ডা. ছফর উদ্দীন স্মৃতি সংঘের সভাপতি কে.এম. রেজওয়ানুল হক নূরনবী। খেলার শেষে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

খেলা দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মো. রোকনুজ্জামান বলেন, “এসব খেলা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। এগুলো আমাদের গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। প্রায় ১০-১৫ বছর পর গ্রামের এই খেলা দেখে খুবই আনন্দ পেলাম।”

এক শিক্ষার্থী, আহসানুল ইসলাম বলেন, “টিভিতে এসব খেলার কথা শুনেছি। আজ এখানে এসে নিজ চোখে দেখে খুব মজা লাগছে। নতুন প্রজন্মের জন্য এসব খেলা অব্যাহত রাখা উচিত।” এই আয়োজন গ্রামের মানুষের মধ্যে বিনোদন এবং ঐতিহ্যকে ধরে রাখার ক্ষেত্রে নতুন আশার সঞ্চার করেছে।