Date: May 02, 2025

দৈনিক দেশেরপত্র

collapse
...
Home / সারাদেশ / ঢাকা / গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বোরখা পড়ে স্ত্রীকে হত্যা! - দৈনিক দেশেরপত্র - মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ

গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বোরখা পড়ে স্ত্রীকে হত্যা!

June 07, 2023 05:46:57 PM   জেলা প্রতিনিধি
গাজীপুরে পারিবারিক কলহের জেরে বোরখা পড়ে স্ত্রীকে হত্যা!

আশিকুর রহমান:
হত্যাকান্ডের ০৬ ঘণ্টার ব্যবধানে কুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে গাজীপুর মহানগরের সদর থানা পুলিশ। গত রবিবার সদর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য ও আসামীদের গ্রেফতারে তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে সদর থানা পুলিশ। পরবর্তী ০৬ ঘন্টার ব্যবধানে হত্যাকান্ডে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবং একজন আসামী পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। পলাতক আসামী মৃদুল, নিহত রুবিনা আকাতারের স্বামী। নিহত রুবিনা আক্তার(২৪) পেশায় একজন বিউটিশিয়ান ছিলেন। সদর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকায় নিহতের নিজস্ব একটি বিউটি পার্লার ছিল। পারিবারিক কলহের জেরে ধরে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় বলে জানায় পুলিশ। 

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন আদাবৈ এলাকার মোঃ আবুল কালামের ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম(২২) ও গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানাধীন খোঁজে বরমী এলাকার মৃত ফনিন্দ চন্দ্র ঘোষের মেয়ে সুমা রানী ঘোষ(৩০)। এসময় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।

গাজীপুর মেট্রোপলিট পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ উত্তর) রেজওয়ান আহমেদ জানান, পারিবারিক কলহের জেরে থেকেই এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। নিহত রুবিনা আক্তার সদর থানাধীন সাইনবোর্ড এলাকার রাজকন্যা নামক একটি বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ছিলেন। বিউটি পার্লারকে পুঁজি করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। ঘাতক স্বামী মৃদুল নিহত রুবিনা আক্তার কোন প্রকার ভরণপোষণ দিতেন না। আর বিষয় নিয়েই দু'জনের মধ্যে সাংসারিক বিরোধ বিরাজমান ছিল। পরবর্তীতে, ঘাতক স্বামী মৃদুল ও গ্রেফতারকৃত আসামী রাকিবুল ইসলাম ও সুমা রাণীর পরস্পর যোগসাজশে স্ত্রী রুবিনা আক্তারকে গত ৪ জুন রবিবার সন্ধ্যায় হত্যা করে। গ্রেফতারের পর আসামী রাকিবুল ও সুমা রাণী নিজেদের দোষ স্বাীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন। হত্যাকান্ডের সময় ঘাতক স্বামী মৃদুল মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। সে সময় তিনি বোরখা পরিহিত অবস্থায় ছিল বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে পুলিশ। পরে, প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের ০৬ ঘন্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন ও দুই আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পলাকত আসামী মৃদুল'কে (নিহতের ঘাতক স্বামী) গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এডিসি রেজওয়ান আহমেদ। 

সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জিয়াউল ইসলাম জানান- নিহতের মা খাবার দিতে গিয়ে তার মেয়ের মরহেদ হাত- পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। পরে, নিহতের মা'র ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ ঘটনায় খবর পাওয়া মাত্র থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং মরদেহের সুরতহাল সম্পন্ন করে লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার সাথে জড়িত দুইজন গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর একজন পলাতক রয়েছে। পলাতক আসামীকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান।